
মাসুদ করিমকাণ্ডে ফেঁসে যেতে পারেন কয়েকজন রাজনীতিক। ভুয়া সিআইএ কর্মকর্তা নামে পরিচিত মাসুদ করিম অতি সম্প্রতি ঢাকার উপদেষ্টা পাড়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। সরকার উৎখাতের নিশানা নিয়ে উপদেষ্টা পাড়ায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। সঙ্গে ছিল পুলিশের একজন এসকর্ট। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে- তিনি কীভাবে এই এসকর্ট জোগাড় করলেন। এই এসকর্ট নাকি একজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার নিরাপত্তা কর্মী। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। আমেরিকান নাগরিক এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশের রাজনীতির ঘোলাটে পরিস্থিতিতে বেশ কিছু নেতাকে বিভ্রান্ত করেছেন নানা প্রলোভনে। কখনও ঢাকায়, কখনও বিদেশে। প্রচুর টাকা খরচ করেছেন এই ভুয়া সিআইএ কর্মকর্তা।

অনুসন্ধান বলছে, মাসুদ করিম জানিয়েছেন- এই টাকা ছিল ঢাকার একটি গোয়েন্দা সংস্থার। হাসিনার জানামতে গোয়েন্দারা এই কৌশল নিয়েছিলেন। অনেক রাজনীতিক এই ফাঁদে পা দেন, কিছু আর্থিক সুবিধার জন্য। গিয়েছেন কাঠমান্ডু, ব্যাংকক এবং সিঙ্গাপুরে। তাদেরকে মাসুদ করিম বলেছেন, খুব শিগগিরই সরকারের পতন হতে যাচ্ছে। আপনারাই হবেন সামনের কাতারের যোদ্ধা। এই স্বপ্নে তারা ছিলেন বিভোর। আসলে এটা ছিল স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি কৌশলের অংশ। গোয়েন্দা হেফাজতে মাসুদ করিম টাকার সূত্র এবং তার মূল লক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। স্পষ্ট করে বলেছেন, তার এবারের উদ্দেশ্য ছিল প্রফেসর ইউনূস সরকারের পতন ঘটানো। এ কারণে তিনি কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন। গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন এবারের টাকার উৎস কী। কারা তাকে পাঠিয়েছে। শেষ খবরে জানা যায়, এখনও তিনি এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তা প্রকাশ করা ঠিক হবে না।