Image description

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচনের জন্য পদ তিনটি। কাউন্সিলর, পরিচালক এবং সভাপতি। কিন্তু  তামিম ইকবালের ‘নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে’ ঘোষণার অর্থ ভিন্ন। একটি সংবাদ মাধ্যমকে এই ঘোষণা দিয়ে তিনি মূলত পরিষ্কার করেছেন- তিনি বিসিবি সভাপতি পদের জন্যই নির্বাচন করতে চান।

সেজন্য তামিমকে প্রথমে কাউন্সিলর হতে হবে। এরপর পরিচালক পদে আসতে হবে। পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে সভাপতি হতে হবে তাকে। কাউন্সিলর হওয়ারও নানা শর্ত আছে। এর মধ্যে একটি ক্লাব পরিচালনার সঙ্গে থাকা। তামিম এরই মধ্যে ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। দুটি ক্লাবের পরিচালনার সঙ্গে আছেন তিনি।

 
 

সোমবার সিলেটে বিসিবি এক বোর্ড সভা শেষে ঘোষণা দিয়েছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিসিবি নির্বাচন হবে। বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি দেশের জন্য ক্রিকেট অঙ্গনে আরও কাজ করতে চাই।’

বুলবুল জানিয়েছেন, তার প্রথম লক্ষ্য বিসিবি পরিচালক হওয়া। কারণ বিসিবিতে সরাসরি সভাপতি পদে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আগে পরিচালক হয়ে আসতে হবে। আবার তামিমের মতো ক্লাব ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় তার ক্লাব থেকে কাউন্সিলরশিপের মাধ্যমে পরিচালক হওয়ার সুযোগ নেই।

তবে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বিসিবি পরিচালক পদে নির্বাচন করার সুযোগ আছে বুলবুলের। আবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক হয়ে বিসিবি সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ারও সুযোগ আছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বুলবুল বর্তমানে ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবে বোর্ডে এসে বিসিবি সভাপতি হয়েছেন।

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ক্লাব ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ২৩ জন বিসিবি পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন। দু’জন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হন। এই ২৫ জন পরিচালকের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এখন পর্যন্ত বুলবুল এবং তামিম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্তও লড়াইটা বুলবুল বনাম তামিম হতে পারে।