
জুলিয়ান উডের কাছ থেকে পাওয়ার হিটিংয়ের কেমন শিক্ষা পেয়েছেন ক্রিকেটাররা! জবাবে বোর্ডের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্রিকেটাররা জানিয়েছিলেন, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজে মাঠের খেলাতেই জানা যাবে এর উত্তর। সেই উত্তর দেওয়ার সেরা মঞ্চ ছিল গতকালের ম্যাচটি। লক্ষ্য মাত্র ১০৪ রান। যা তাড়া করতে গিয়ে একটু ঝুঁকি নেওয়াই যায়। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হাঁটেননি সেই পথে। শিশিরকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার পরও ধীরে সুস্থেই খেলেছেন। ইমনের ২১ বলে ২৩ ও লিটনের ১৮ বলে ১৮* রানের ইনিংস তারই সাক্ষী। তানজিদের ফিফটি এসেছে ৩৯ বলে। খেলেছেন ৪০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।
একাদশে ফেরা নাসুমের তিন ও মোস্তাফিজ-তাসকিনের জোড়া শিকারে ১০৩ রানেই গুটিয়ে যাওয়া নেদারল্যান্ডসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হওয়ার পর লিটন দাসের নেতৃত্বে ৬ সিরিজের মধ্যে ৪টিতেই জিতল বাংলাদেশ। তবে এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চের জন্য হাত ঝালাইয়ের প্রস্তুতিটা ঠিকঠাক হলো কি না- প্রশ্ন থেকেই গেল। দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কা ও ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের পর এবার ডাচদেরও সিরিজ হারালেন লিটনরা।
সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য এশিয়া কাপের প্রস্তুতির মঞ্চ। তাই হয়তো কোচ ফিল সিমন্স চেয়েছিলেন অন্যদেরও পরখ করে দেখতে। আগের ম্যাচের একাদশে তাই পরিবর্তন আনেন দুটি। শরিফুল ইসলামের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন বাঁহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আর স্পিনে রিশাদ হোসেনের জায়গায় নাসুম আহমেদ। ২১ রানে ৩ শিকার ধরেন নাসুম। দুটি করে উইকেট করে মোস্তাফিজুর ও তাসকিন। আর একটি করে তানজিম ও মেহেদি।