Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ৩৬ দফা ইশতেহারে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রদলের ১০ দফা ইশতেহারের কোথাও সাম্য হত্যা নিয়ে কিছু উল্লেখ নেই। ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন প্যানেলের ইশতেহার বিশ্লেষণ করতে গিয়েই এমনটি চোখে পড়ে।

‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ এর ইশতেহারের দ্বিতীয় দফার একাংশে বলা হয়, ডাকসুতে নির্বাচিত হলে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করবেন তারা। পাশাপাশি সাম্য, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারও নিশ্চিত করবেন তারা। 

ছাত্রদলের ১০ দফা ইশতেহারে রয়েছে- শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আধুনিক ক্যাম্পাস গড়া, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা, কারিকুলাম, অবকাঠামো ও গবেষণার মানোন্নয়ন, পরিবহণ ব্যবস্থা সহজ করা, হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক সেবা,  তরুণদের গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করা, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সাইবার সেল গঠন, পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা, ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত করা এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের নিয়মিত আয়োজন।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল তাদের ইশতেহারে ৩৬টি দফা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ৩৬ দিনকে স্মরণ করে দিয়েছে। ইশতেহারের শুরুতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক বিষয়গুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেখিয়েছেন তারা। 

প্যানেলটির প্রার্থীরা জানান, ইশতেহারের প্রতিটি দফা বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে তাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। কোন দফাটি কখন কীভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন তারও একটি আনুমানিক প্রক্রিয়া তারা ঠিক করে ফেলেছেন। এ বিষয়ে প্যানেলটির ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্যও দেওয়া হয়েছে।