Image description

পৃথিবীতে ক্রিকেট খেলা চলছে দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৷ ক্রিকেটের এই দেড়শ বছরের ইতিহাসে শুধু যে জয়-পরাজয়ের ঘটনাই ঘুরে ফিরে এসেছে— তা কিন্তু নয় ৷ কখনো কখনো ফলাফলকে একদম ছাপিয়ে গেছে কিছু অদ্ভুত ঘটনা। বাইশ গজের এই বিনোদনে এবার তেমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। 

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ও সেন্ট লুসিয়া কিংস। সেই ম্যাচের গায়ানার ইনিংসে ১৫তম ওভারে এক বল থেকেই এসেছে ২২ রান! ওশানে থমাসের দিকভ্রান্ত বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড। 

সেন্ট লুসিয়ার অলরাউন্ডার শেফার্ড পাঁচটি চার এবং সাতটি ছয়ের সাহায্যে ৩৪ বলে ৭৩ রান করেন। সাতটি ছয়ের মধ্যে তিনটি ছয় এসেছে একই ওভারে। প্রতিটিই ‘ফ্রি হিট’ থেকে। ম্যাচের ১৫তম ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিটি ‘নো বল’ করেন ওশানে থমাস। সেই বল থেকে শেফার্ড কোনও রান করতে পারেননি। 

পরের বলটি করতে গিয়ে ওয়াইড দেন তিনি। ফলে ‘ফ্রি হিট’ অটুট থাকে। এরপর ‘ফ্রি হিট’ বল থেকে ছয় মারেন শেফার্ড। তবে সেই বলটিও ‘নো’ হয়। আবার একটি ‘ফ্রি হিট’ এবং আরও একটি ছয় মারেন শেফার্ড। ‘ফ্রি হিট’-এর তৃতীয় বলটিও ‘নো’ হয়। সেই বলেও ছক্কা হাঁকান শেফার্ড। 

প্রতিবারই থমাসের পা ক্রিজের বাইরে পড়ায় আম্পায়ার ‘নো বল’ দিয়েছেন। ফলে তিনটি ছয়ের মধ্যে মাত্র একটিই বৈধ বল ছিল।  ১টি বৈধ বল থেকেই আসে রেকর্ড ২২ রান! বলটি তিনি শেষ করেছেন এভাবে নো, ওয়াইড, নো ৬, নো ৬, ৬। ১৫তম সেই ওভারে ওশানে থমাস দেন ৩৩ রান। 

শেফার্ড ঝড়ে শেষ পর্যন্ত গায়ানা নির্ধারিত ২০ ওভারে পায় ৬ উইকেটে ২০২ রানের পুঁজি। তারপরও ম্যাচটা জিততে পারেনি গায়ানা। ১১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সেন্ট লুসিয়া।