
মধ্য আফ্রিকার একটি দেশ অ্যাঙ্গোলা। আগামী নভেম্বর মাসে তাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এই উপলক্ষে তারা আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চায়। ইতমোধ্যেই ম্যাচের তারিখ নির্ধারণ করতে দুই পক্ষের আলোচনা চলছে। কিন্তু অ্যাঙ্গোলার জনগন চায় না- মেসিরা তাদের দেশের বিপক্ষে খেলুক! সম্প্রতি দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনার পর এই আহ্বান করা হয়েছে।
গত জুলাই মাসে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অ্যাঙ্গোলাজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। ডিজেলে ভর্তুকি কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ একপর্যায়ে সহিংস রূপ নেয়। লোকজন দোকানপাট লুট করতে শুরু করে। এমতাবস্থায় জনতার ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে মোট ৩০ জন নিহত হয়, আহত হয় ২৭০ জন। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৫১৫ জনকে। দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে ‘কাঠামোগত দমননীতি’ চালানোর অভিযোগ।
গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাঙ্গোলার নাগরিক সমাজের চারটি সংগঠন এএফএ, আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও তাদের অধিনায়ক মেসির দাতব্য প্রতিষ্ঠান লিও মেসি ফাউন্ডেশনকে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জনগণের সম্পদ যখন বড় আকারের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ব্যয় করা হচ্ছে, তখন হাজার হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক দীর্ঘমেয়াদি ক্ষুধা, গুরুতর রক্তশূন্যতা ও ব্যাপক খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।’
সংগঠনগুলোর মতে, পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি খেলতে যদি আর্জেন্টাইনরা অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে সেটা হবে 'আন্তর্জাতিক সংহতি ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার একটি মহৎ নজির'। আফ্রিকা মহাদেশের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি হলো অ্যাঙ্গোলা। তবে বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার ৩ কোটি ৮০ লাখ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এছাড়া, দেশটির জনসংখ্যার ২২.৫ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে।