Image description

যখন ক্রিকেট বোর্ডে ছিলেন না, তখন তিনি বোর্ডের কড়া সমালোচক ছিলেন। এখন ক্রিকেট বোর্ডে এসে নিজেই হয়ে গেছেন সমালোচিত। তিনি বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। শ্রীলঙ্কা সফরে দলের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সামলাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। পাশাপাশি অকারণে জাতীয় দলের সঙ্গে তার একের পর এক বিদেশ সফর সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিসিবিতে আসার পর থেকে গত ১১ মাসে পুরুষ এবং নারী দলের সঙ্গে ডজনখানেকের বেশি বিদেশ সফর করেছেন ফাহিম। মোটা অংকের দৈনিক ভাতা নিয়েছেন। কিন্তু নিজের দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এমনকী দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালও মনে করেন, বারবার বিদেশ সফরে গিয়ে নাজমুল আবেদীন যদি দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু আনতে পারতেন, তাহলে কোনো আপত্তি থাকত না।

একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল বলেছেন, শুধু খেলা দেখা আর জিতেছি কিংবা হেরেছি এসব নিয়ে আলোচনা না করে ওই দেশ থেকে নতুন কিছু নিয়ে আসা… কিংবা ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো একটা সিরিজ নির্ধারণ করা কিংবা তাদের ক্রিকেটের ফ্যাসিলিটিজ দেখে সেগুলো দেশে এসে বাস্তবায়ন করা- এসব যদি যুক্ত করা যায়, তাহলে আমার কাছে মনে হয় ভালো হবে।’

সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘এই কাজগুলো যদি এই ক্রিকেট বোর্ড করে, তাহলে প্রতি ট্যুরে যান সমস্যা কী? যদি আপনি প্রতি ট্যুরে গিয়ে কোনোকিছু ভালো নিয়ে আসতে পারেন, কেন নয়?  কিন্তু আপনি প্রতি ট্যুরে গিয়ে যদি ভালো কিছু না নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে তো কোনো লাভ নেই। আপনি টিএ ডিএ নেন, ১০ দিন না, ২০ দিনের নেন। কিন্তু ওই টিএডিএ নিয়ে যদি বাংলাদেশের ক্রিকেটের ২ পারসেন্ট উপকার হয়, আপনি নেন ভাই কোনো সমস্যা নাই। আমার কথা হচ্ছে এটা।’

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তনের পর নতুন বোর্ড গঠন হলেও ক্রিকেটে এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই। ক্রিকেট অপারেশন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও ফাহিম বলতে গেলে কিছুই করতে পারেননি। তামিম বলেন, ‘কেন নিচ্ছেন, না নিচ্ছেন সেসব আলোচনা না করে জেনুইনলি যদি আমরা সবাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালো চাই, তাহলে আপনি টিএ ডিএ নেন। একশ ডলার নিয়েন না, পাঁচশ ডলার নেন। কিন্তু ওই পাঁচশ ডলারের বদলে যদি বাংলাদেশের ক্রিকেটের ৫ শতাংশ লাভ হয়ে থাকে, তাহলে প্লিজ এগিয়ে যান এবং টিএ ডিএ নিন।’