
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরই ইতি টানবেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে। তার বিদায়ী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নিজ শহর জামাইকার ঐতিহাসিক স্যাবাইনা পার্কে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০১৯ সাল থেকে শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলে আসা রাসেল এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৮৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে ১টি টেস্ট ও ৫৬টি ওয়ানডে ম্যাচ। ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন তিনি।
বিদায় উপলক্ষে আবেগঘন এক বার্তায় রাসেল বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা আমার জীবনের অন্যতম গর্বের অধ্যায়। ছোটবেলায় কখনো ভাবিনি এমন জার্সি গায়ে দিয়ে মাঠে নামব।
কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আর কঠোর পরিশ্রম আমাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। মেরুন জার্সিতে নিজের ছাপ রেখে যেতে চেয়েছি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়।’
নিজ শহরে খেলার সুযোগ নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘নিজ শহরের মাঠে, নিজের মানুষদের সামনে খেলাটা সবসময়ই ছিল আমার জন্য বিশেষ কিছু। এখানেই নিজেকে নিংড়ে দিতে পারি, নিজের সেরাটা তুলে ধরতে পারি। আশা করি, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা গর্বের সঙ্গেই শেষ করতে পারব।’
রাসেলের এই বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। বিশেষ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাত্র সাত মাস আগে এমন সিদ্ধান্ত দল পরিচালনায় প্রভাব ফেলতে পারে। এর আগে মাত্র দুই মাস আগেই আরেক তারকা নিকোলাস পুরান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান।
রাসেলের বিদায়ের প্রসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান কোচ ও সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বলেন, ‘আন্দ্রে সবসময়ই পেশাদার মানসিকতার এবং জয় পাওয়ার ক্ষুধায় উদ্বুদ্ধ ছিল। আমি যখন তার অধিনায়ক ছিলাম, তখন থেকেই ওর মধ্যে এই মানসিকতা দেখেছি। কোচ হিসেবেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা থাকল। আমি বিশ্বাস করি, সে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেই যাবে।’
শীর্ষনিউজ