
গত পরশু ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমারকে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কুশীলব ঋতুপর্ণা চাকমা। রাঙামাটির এই মেয়েকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা বলেছেন দেশের তিন সাবেক তারকা ফুটবলার।
সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু বলেছেন, ‘অসাধারণ ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা। যেমন ড্রিবলিং, তেমনই গোল করার পারদর্শিতা। গোল তার পায়েই মানায়। মিয়ানমারের বিপক্ষে তার করা দুটি গোলই আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় গোলটি যেভাবে হাওয়ায় ভাসিয়ে বারের কোনাকুনি জালে জড়াল, দেখার মতো ছিল। কোচ পিটার বাটলার ঋতুপর্ণার প্রশংসা করেছে। ওর খেলা আমার খুবই ভালো লাগে।’
সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন, ‘২০২২ সালে সাফ জেতার পর থেকে ঋতুপর্ণার খেলা আমি ফলো করি। রাঙামাটির মেয়েটির দুর্দান্ত গতি। আমি মিয়ানমারের বিপক্ষে তার ম্যাচটা দেখেছি। অসাধারণ খেলোয়াড় সে। তার দ্বিতীয় গোলের ফুটেজ বারবার দেখেছি। প্রথম গোলটিও ভালো লেগেছে। ডি-বক্সের বাঁ পাশ দিয়ে ফ্রিকিক থেকে রিবাউন্ড হওয়া শটে যেভাবে প্লেসিং করল, মুগ্ধ হবে যে কেউ। ঋতুপর্ণার গোল মানেই যেন বাংলাদেশের জয়।’
সাবেক তারকা ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি বলেছেন, ‘ঋতুপর্ণা অসাধারণ একজন ফুটবলার। মিয়ানমারের বিপক্ষে দুটি গোলই দেখেছি। দুর্দান্ত অনেক উন্নতি করেছে ঋতুপর্ণা। এর পেছনে অবশ্য ব্রিটিশ কোচ পিটারের অবদান রয়েছে। কোচ তার খেলায় পরিবর্তন এনেছে। খেলা দেখলেই বোঝা যায়। ঋতুপর্ণার পারফরম্যান্সেই আমরা এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। ওর পারফরম্যান্সের যে গ্রাফ দেখছি তাতে মনে হচ্ছে ঋতুপর্ণা নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’
ঋতুপর্ণার এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ পুরো দেশ। তার গোলেই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এখন সবার আশা, এশিয়ান কাপে গিয়েও ঋতুপর্ণা নিজের সেরা খেলাটা উপহার দেবেন।