
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব বলছে, শাহ পরান এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। তিনি ওই ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই। বড় ভাইয়ের সঙ্গে পূর্ববিরোধের প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানায় র্যাব।
আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই শাহ পরানই নারীকে মারধর, বিবস্ত্র করা, ভিডিও ধারণ ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার মূল পরিকল্পনাকারী। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ঘটনার ছবি, ভিডিওসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে শাহ পরান এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রায় দুই মাস আগে পারিবারিক বিষয়ে ফজর আলী ও তাঁর ভাই শাহ পরানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিবাদের সমাধান করতে গ্রামে সালিস করা হয়। সেখানে বড় ভাই ফজর আলী জনসম্মুখে ছোট ভাই শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে শাহ পরান এ পরিকল্পনা সাজান।