
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে ফারুক আহমেদকে। তার বিরুদ্ধে বিসিবির অন্তত ৮ জন পরিচালক অনাস্থা জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পর ফারুককে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে তার বিদায়ের পর সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
লিংকডইনে দেওয়া এক পোস্টে হাথুরু লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার পক্ষে কথা বলতে দেই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আবারও আলোচনায় এসেছি।’
‘ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি। বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ’-যোগ করেন এই লঙ্কান কোচ।
ফারুক আহমেদ গত বছরের আগস্টে বিসিবির সভাপতি পদে আসার পরই হাথুরুকে ছাঁটায়ের ইঙ্গিত দেন। এরপর অক্টোবরে অনেকটা আচমকা-ই হাথুরুকে বিদায় করে বিসিবি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে স্পিনার নাসুম আহমেদকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন তিনি।
যদিও এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন হাথুরু। এমনকি বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকা নিক পোথাসও এই ব্যাপারটি অস্বীকার করেন।
এর আগে ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাথুরু বলেছিলেন, চাকরি হারানোর পর বাংলাদেশে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তিনি। বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন তখন তাকে বলেছিলেন, ‘তোমার চলে যাওয়া উচিত। বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, তোমার কি টিকিট আছে?’। হাথুরু বলেন, ‘এটি আমার জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল। তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই।’
প্রসঙ্গত, ফারুক আহমেদকে অপসারণের পর গত শুক্রবার (৩০ মে) জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।