
আজ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত, হারলে হাতছাড়া। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে টাইগারদের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়। ইনিংসের শুরু থেকে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে ইনিংসের শুরুতে হাল ধরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ১৮ বলে ৪০ রান করেন। ইনিংসের সপ্তম ওভার থেকে ১৮.২ ওভার পর্যন্ত হাল ধরেন জাকের আলি।
শেষ ১২ বলের ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলকে মাঝারি স্কোর উপহার দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন দুই তারকা পেস বোলার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
আরব আমিরাতের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে হতাশ বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১৯৭ রান করে ২৭ রানে জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ২০৫ রান করেও শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে বাংলাদেশ হেরে যায় ২ উইকেটে।
প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ আজ অঘোষিত ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেই হারিয়ে ফেলে।
বুধবার আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ১০ রানে ফেরেন সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তিনি গোল্ডেন ডাক মারেন।
দলীয় ৩১ রানে ফেরেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। আগের দুই ম্যাচে ১১ ও ৪০ রান করলেও এদিন ১০ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। ২ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে ফেরেন তাওহিদ।
দলীয় ৪৯ ও ৫৭ রানে ফেরেন শেখ মেহেদি হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। শেখ মেহেদি ৯ বল খেলে মাত্র ২ রানে ফেরেন।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ইনিংসের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে যাওয়া তানজিদ বোল্ড হওয়ার আগে মাত্র ১৮ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার আর চারটি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করেন।
মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ফেরেন শামীম হোসেন ও রিশাদ হোসেন। দলীয় ৮৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব।
ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে দলের হাল ধরেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান জাকের আলি অনিক। তিনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন দলের সংগ্রহ ছিল ৬ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ৪৯ রান।
ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকের আলি অনিক। তিনি লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু নবম উইকেটে পেস বোলার হাসান আলি ছাড়া তাকে কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি।
নবম উইকেটে তারা ২৬ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের শেষ দিকে দলীয় স্কোর মোটাতাজা করতে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন জাকের।
১৮.২ ওভারে দলীয় ১২৮ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে এক চার আর ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন জাকের আলি।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা শরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে ১২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন হাসান মাহমুদ। তার ১৫বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬২ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।