
বোলিংয়ে অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন খালেদ আহমেদরা। বাকিটা ব্যাটিংয়ে সামলেছেন নুরুল হাসান সোহান ব্রিগেড। নিউজিল্যান্ড এ দলের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ এ দল টপকে গেছে হেসেখেলে। তিন ম্যাচের সিরিজেও এগিয়েছে ১-০ ব্যবধানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী কিউইরা প্রথম ওয়ানডে হেরেছে ৭ উইকেটে। দেড়শ রানের কম পুঁজিতে ৩ উইকেট হারালেও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও মাইদুল ইসলাম অঙ্কন প্রতিপক্ষকে সুযোগ দেননি। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ একই ভেন্যুতে। পঞ্চাশ ওভারের পরের ম্যাচ ৭ মে।
লাক্কাতুরার চা বাগান ঘেরা মাঠে টসভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। নিক কেলি তবে ব্যাটিং নিয়ে যেন ভুল করেছিলেন। সোমবার সকালে স্কোরবোর্ডে ৫ রান আসতেই প্রথম উইকেট হারায় কিউইরা। ৬ রানের মধ্যে ফেরেন আরও দুই টপ অর্ডার। ৬২ রানের মাঝে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারী দল। একপাশ আগলে রেখে দলকে টানেন ওপেনার মারিউ।
খালেদ-শরিফুলদের তোপে যখন কিউইরা শতরানের নিচে অলআউটের শঙ্কায়, তখন ত্রাতা হন ডিন। দলকে শতরান পার করিয়ে অল্পতে গুটানোর লজ্জা এড়ান। পরে টানেন দেড়শ রানের দিকে। শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ৭২ রানে। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশা দেওয়ার ইনিংসে ৬৪ বলে ৬টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান ডিন। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন স্পিনার তানভীর ও খালেদ আহমেদ। দুজন কিউই ব্যাটারকে সাঝঘরের পথ দেখান শরিফুল ও ইবাদত হোসেন।
ছোট লক্ষ্যে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩০ রান করে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। বেশি সময় থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইমও (১৮)। তিনে নামা এনামুল হক খেলেছেন ৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ইমন ও নাইমকে ফেরান ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। এনামুল ফেরেন ফক্সক্রোফটের বলে ক্লার্ককে ক্যাচ দিয়ে। বাকিদের ছিল নিরস দিন।
১০৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে বাড়তি বিপদে ফেলেননি অঙ্কন ও নুরুল। দুজনের ৪০ রানের জুটিতে সহজ জয় তোলে বাংলাদেশ। এ দলের অধিনায়ক নুরুলের ব্যাটে আসে ২০ রান। ৬১ বলে হার না মানা ৪২ রান করেন অঙ্কন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সকালে পেস তোপ দাগা খালেদ আহমেদ।