Image description

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের মহাসমাবেশ গভীর রাতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অপারেশন ফ্লাশআউট চালানো হয়েছিল। হেফাজত নেতাদের অভিযোগ, ওই রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল।

তাদের দাবি, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত অভিযান হয়েছে তাতে কোনো অভিযানই গভীর রাতে লাইট বন্ধ করে হয়নি। এমনকি গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অপারেশন থান্ডারবোল্ডেও লাইট বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু হেফাজতের সমাবেশ পন্ড করতে যে অভিযান চালানো হয়েছিল, তাতে শুধু শাপলা চত্বর নয়, মতিঝিল ও তার আশপাশের এলাকাতেও বিদ্যুৎসংযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

হেফাজত নেতাদের দাবি, গভীর রাতে র‌্যাবের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, বিজিবি ও এপিসির গুলি, পুলিশের শর্টগানের গুলি, সোয়াত ও এপিবিএনের লাঠিচার্জ ছিল অন্যতম। সেদিন সাউন্ড গ্রেনেডের সঙ্গে মারণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। যদিও ওই সময় সরকার দাবি করেছিল, নিহতের সংখ্যা চার জন। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের মতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৬১ জন। আর হেফাজত ওই সময় ৩৩০ জনের তালিকা করে। তবে সেটি প্রকাশ করতে দেয়নি সরকার।

হেফাজতের নেতারা জানায়, পরদিন সকাল হওয়ার আগে সিটি করপোরেশনের বড় বড় পানির গাড়ি দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছিল। পানির স্রোতে রক্তমাখা সড়ক ধুয়ে যাওয়ার দৃশ্য সেদিন সবাই দেখেছে। এছাড়া, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের রাস্তায় পড়ে থাকা হাজার হাজার জুতা-সেন্ডেল, সৌন্দর্য-বর্ধনের কেটে ফেলা গাছ এবং ইট-পাটকেল পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। সাধারণ এত সকালে এত কিছু পরিষ্কার করা হয় না কখনো। কিন্তু সেদিন পরিষ্কার করা হয়েছিল। কারণ, সবকিছু ছিল পরিকল্পিত।

 

কোনো কোনো হেফাজত নেতার দাবি, ওইদিন পাউডার জাতীয় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। যা দিয়ে অনেক কঠিন বস্তুকেও গলিয়ে পানি করা সম্ভব। কিন্তু তাদের দাবির বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সারাবাংলা