
ক্রিকেট মাঠ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবার আলোচনায় এলেন নতুন এক বিতর্কে। দেশের আইনে নিষিদ্ধ অনলাইন বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপনে যুক্ত হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
শনিবার (২২ মার্চ) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিদেশি একটি বেটিং সাইটের প্রোমোশনের ভিডিও পোস্ট করেন সাকিব। এতে তাকে জুয়ার খেলার বিষয়ে দর্শকদের উদ্বুদ্ধ করতে দেখা যায়। বিষয়টি সামনে আসতেই ক্রিকেটপ্রেমীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এর আগেও বিদেশি একটি বেটিং সাইটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাকিব। তবে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার সুবাদে ভিন্নভাবে বেটিং সাইটের প্রোমোশন চালিয়ে গেছেন তিনি। এবার সরাসরি দেশের আইনে নিষিদ্ধ জুয়ার বিজ্ঞাপনে যুক্ত হয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন এই সাবেক অধিনায়ক।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জুয়াখেলা নিষিদ্ধ এবং এটি প্রতিরোধে রাষ্ট্রকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া প্রচলিত আইনেও জুয়া খেলা বেআইনি। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সাকিবের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজ্ঞরা।
দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন সাকিব। দেশের হয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিলেও ওয়ানডে থেকে বিদায় জানাননি। বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়ায় ক্রিকেট মাঠ থেকেও দূরে রয়েছেন তিনি। এতে তার ক্রিকেট আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানির স্পন্সরশিপও হারিয়েছেন।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। একজন সংসদ সদস্য হওয়ায় তাকে করা হয়েছে হত্যা মামলার আসামি। নিরাপত্তা ইস্যুতে দেশে না ফিরেই বিদেশে অবস্থান করছেন তিনি।
সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটার এবং সাবেক সংসদ সদস্যের এমন পদক্ষেপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই মনে করছেন, দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ানো একজন জাতীয় তারকার জন্য লজ্জাজনক।
সাকিবের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যতে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।