Image description

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন গাজায় ফিলিস্তিনিদের ‘অস্তিত্ব’ রক্ষার জন্য হামাসকে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। 

গাজা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাঠানো এক বার্তায় ফাতাহ মুখপাত্র মন্থার আল-হায়েক বলেন, ‘হামাসকে গাজা, উপত্যকাটির শিশু, নারী ও পুরুষদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে হবে। '

তিনি হামাসকে গাজা শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং এটি স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছে যে, তারা গাজার ক্ষমতায় থাকলে থাকলে আগামীতে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বের অবসান ঘটাবে।

২০০৭ সালে ফাতাহ-অধ্যুষিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হামাস গাজায় ক্ষমতা দখল করে।  ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের চলা অব্যাহত হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে উপত্যকাটি। 

হামাস বারবার বলেছে যে, যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে তারা গাজায় ক্ষমতা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক।  তবে তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে কি না তা স্পষ্ট নয়। 

হামাসের মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু শনিবার (২২ মার্চ) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা গাজার প্রশাসন (যুদ্ধ-পরবর্তী) সম্পর্কিত যেকোনো চুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত, এবং এতে থাকতে আগ্রহী নই। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল জাতীয় ঐকমত্য। ’

যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনা এবং পুনর্গঠন তত্ত্বাবধানের জন্য পেশাদার এবং টেকনোক্র্যাটদের একটি স্বাধীন কমিটির জন্য হামাস মিশরের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, কমিটিকে রামাল্লা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে হবে, যা তার মতে গাজা পরিচালনার একমাত্র বৈধ সংস্থা। কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এটি প্রত্যাখান করেছে। 

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধের পর, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইসরাইল উপত্যকাটিতে আবারও বিমান হামলা শুরু করে।  আর পরদিন থেকে শুরু হয় স্থল অভিযান। 

গত শুক্রবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ হুমকি দেন, ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাসের হাতে আটক বাকি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজার কিছু অংশ তারা দখলে নেবে।

ইসরাইলি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১,২১৮ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। আর হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে গাজায় প্রায় ৫০ হাজার  মানুষ নিহত হয়েছে।