Image description
দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) বা নারীদের আইপিএল শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অধিনায়ক হরমনপ্রীত করের ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং ন্যাট সিভার-ব্রান্টের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মুম্বাইকে জয়ের পথ গড়ে দেয়। টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ পায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বাইয়ের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে তারা। ম্যাচ শেষে হতাশায় কেঁদে ফেলেন দিল্লির অলরাউন্ডার মারিজানে ক্যাপসহ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। দলের ব্যর্থতায় হতাশ দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং বলেন, ‘আমরা ফাইনালে আমাদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারিনি, যা খুবই হতাশার। তবে এটাই ক্রিকেট। আমাদের জন্য কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আমরা খুব হতাশ। নিজেদের ভালো অবস্থানে রেখেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারিনি।’ ন্যাট সিভার-ব্রান্ট বল হাতে তিনটি উইকেট শিকার করেন, আর অ্যামেলিয়া কের, যিনি পুরো মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৮টি উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন, তিনি নেন দুটি উইকেট। দিল্লির ব্যাটিংয়ে কেবল মারিজানে ক্যাপ (৪০) ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ (৩০) কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় দল জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায়। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া দিল্লি শুরুতেই আক্রমণাত্মক বোলিং উপহার দেয়। তারা দ্রুত হেইলি ম্যাথিউজ ও ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে ফিরিয়ে দেয়, ফলে মুম্বাই ২০-২ স্কোর নিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করে। তবে সেখান থেকে হরমনপ্রীত কৌর ও ন্যাট সিভার-ব্রান্ট ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। এই জুটির ব্যাট থেকে আসে ১৫টি বাউন্ডারি, যা দিল্লির বোলারদের চাপে ফেলে দেয়। মৌসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ী ন্যাট সিভার-ব্রান্ট বলেন, ‘ডব্লিউপিএলে আমার জন্য এটি দুর্দান্ত একটি বছর। এত ক্রিকেট খেলার পর এই অবস্থানে আসতে পারা দারুণ অনুভূতি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি যতদিন পারি এই সাফল্যের মুহূর্তগুলো উপভোগ করব, কারণ ক্রিকেটে খারাপ সময়ও আসে। তাই যখন ভালো সময় আসে, তখন সেটাকে উপভোগ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’ ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ৪৪ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। সিভার-ব্রান্টের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট পড়লেও হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে দল ১৪৯-৭ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। দিল্লির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মারিজানে ক্যাপ, যিনি ২ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া জেস জনাসেন ও নল্লাপুরেডি চারানি দুটি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচ শেষে হরমনপ্রীত বলেন, ‘১৫০ রান আদর্শ স্কোর ছিল না, তবে এমন চাপের ম্যাচে এটা ১৮০ রানের মতো মনে হচ্ছিল। আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, পাওয়ারপ্লেতেই আমরা ব্রেকথ্রু পেতে পারি, আর শাবনিম ইসমাইল ও সিভার-ব্রান্ট সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এবং আমাদের ম্যাচ এনে দিয়েছে।’ ‘আমরা সহজভাবে খেলতে চেয়েছি এবং দল হিসেবে সেটাই করেছি। দলের সাপোর্ট স্টাফদের সমর্থন ছিল অসাধারণ, আর আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি দারুণ খুশি।’