Image description

নিজেদের অবস্থান থেকে এখনও সরেননি ১৮ ‘বিদ্রোহী’ ফুটবলার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির অনুরোধেও সাড়া দিয়ে ফেরেননি তারা অনুশীলনে। ৩০ জানুয়ারিতে শুরু হওয়া সংকটের সমাধানও হয়নি এখনও। সব মিলিয়ে প্রশ্নটা তাই উঠছেই, এই অচলাবস্থার অবসান কবে?

যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই কোচ পিটার জেমস বাটলার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন, চুক্তিবদ্ধ ৩৬ ফুটবলার নিয়ে। সাবিনা-মাসুরাদের ‘পরিকল্পনার বাইরে’ রাখার কথা প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছেন এই ইংলিশ কোচ।

কয়েকদিন আগে বাফুফে সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরেফ বলেছিলেন, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল লন্ডনে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমাধানের আশাবাদ, কিন্তু তা পূরণের ইঙ্গিত মিলছে না।

বাফুফে সভাপতি অবশ্য আরও ধৈর্য ধরার পক্ষে। তিনি জানিয়েছেন, চলমান সংকটের অবসান করে সবাইকে একসাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ। তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই ধৈর্য ধরি। আমাদের সামনে দীর্ঘ পথ রয়েছে, ইনশাল্লাহ, আমরা সমস্যার সমাধান করব এবং সবাই একসাথে এগিয়ে যাব।’

পরিস্থিতি এমন যে, অপেক্ষা আর ধৈর্য ধরা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বাফুফের সামনে! সংস্থাটির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণও বলেছেন একই কথা। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি এখন বাফুফে সভাপতি দেখছেন। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করেছি। মেয়েদের বুঝিয়েছি। এখন অপেক্ষা ছাড়া আমাদেরও কিছু করার নেই।

অপেক্ষায় আছে পিটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে অনুশীলন থেকে দুরে থাকারাও। নাম না প্রকাশের শর্তে এক ডিফেন্ডার বলেছেন, ব্যাগ ‘গুছিয়ে’ রাখার কথা। বাফুফে ‘ছুটি’ দিলে বাড়ি চলে যাবেন- এমন প্রস্তুতি মানসিকভাবে নিয়ে রাখার কথাও বলেছেন দুটি সাফ জয়ী ওই ডিফেন্ডার।

এদিকে টিম স্টাফরা আছেন অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে। যেকোনোভাবে চলমান সংকটের অবসান চান তারা। এক সহকারী কোচ যেমন বললেন, আমরা তো চাই, এই সমস্যার সমাধান হোক, কিন্তু…।