Image description

মাত্র ৩০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্য নিয়ে নিলামে উঠেছিলেন প্রশান্ত বীর। কিন্তু নিলামের টেবিলে তার নাম উঠতেই শুরু হয়ে যায় তুমুল লড়াই। শুরুতে দ্রুত দর হাঁকায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাই ছিটকে গেলে লড়াইয়ে যোগ দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। অল্প সময়ের মধ্যেই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ২০ লাখ রুপি, তখনও এগিয়ে ছিল চেন্নাই।

এরপর রাজস্থান রয়্যালস হঠাৎ করে ৪ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে দর হাঁকে, যা দ্রুতই ৬ কোটিতে পৌঁছে যায়। এখানেও পিছু হটেনি চেন্নাই, ৬ কোটি ৬০ লাখ রুপিতে দর বাড়ায় তারা। তখনই নাটকীয়ভাবে নিলামে ঢুকে পড়ে হায়দরাবাদ। একের পর এক দর বাড়াতে বাড়াতে দাম নিয়ে যায় ১৪ কোটি রুপি পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত ১৪ কোটি ২০ লাখ রুপিতে প্রশান্তকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই।

২০ বছর বয়সী বাঁহাতি এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার প্রথম আলোচনায় আসেন ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগে নইডা সুপার কিংসের হয়ে খেলার সময়। এরপর চলতি মৌসুমের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দেন। 

সাম্প্রতিক সময়ে মুম্বাই ও কলকাতার মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত করে মাত্র ৭ দিনে ৬টি ম্যাচ খেলেন প্রশান্ত, সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি ও উত্তর প্রদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে। এই সময়ের মধ্যেই ব্যাট হাতে ১১২ রান করেন, যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ১৭০, সঙ্গে বল হাতে নেন ৯টি উইকেট, ইকোনমি মাত্র ৬.ল দশমিক ৭৬। 

তার এই দ্রুত উত্থান নজর এড়ায়নি কিংসেরও। রবীন্দ্র জাদেজার দীর্ঘমেয়াদি বিকল্প খোঁজার অংশ হিসেবে ট্রায়ালে কাছ থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করেছে সিএসকে। শেষ পর্যন্ত সেই আস্থারই প্রতিফলন দেখা গেল নিলামের টেবিলে, যেখানে ৩০ লাখের ক্রিকেটার হয়ে উঠলেন ১৪ কোটির তারকা।