শুরুতে একটু সময় নিয়েছিলেন। তবে তামিম ইকবাল যেই না ছন্দে ফিরলেন, আর পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন না। চলতি বিপিএলে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পর্বের শুরুর ম্যাচে দলটা তার ফিফটিতে ভর করে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল জয়।
লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। ১৩৯ রানের লক্ষ্যই ছিল মোটে। তবে শুরুর দিকে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে যান, দলের রান তখন দুই অঙ্কে পৌঁছায়নি। এরপর শুরু তামিম-শো’র, তাকে সঙ্গ দেন দাভিদ মালান।
মামুলি লক্ষ্য সামনে রেখে খুব আগ্রাসী হতে হয়নি দুজনের কাউকেই। তবে তা না করেও তাদের জুটিতে রান এসেছে প্রায় ওভারপ্রতি প্রায় ৯ করে করে। ৮০ বলে তারা তুলেছেন ১১৭ রান।
তামিম শেষে এসে তুলে নেন তার চলতি বিপিএলে তার দ্বিতীয় ফিফটি। এরপর একটু আগ্রাসী হতে গিয়েছিলেন। থিসারা পেরেরার এক ওভারে এক ছক্কা আর এক চারে তোলেন ১৩ রান, সে ওভারেই তার ইনিংসটা শেষ হয়। পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
ওপাশে মালানের ফিফটিটাকেও খুব সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল। তবে শেষমেশ তিনি ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন, কারণ ওপাশে জাহানদাদ খান সময় নিতে চাননি একটুও। এসেই তিনি হাঁকিয়েছেন দুই ছক্কা। ৪ বল খেলে করেন ১৩ রান। তার ওপর মোসাদ্দেক হোসেন দেন বিশাল এক ওয়াইড, তাতে আসে সব মিলিয়ে পাঁচ রান। তাতেই বরিশাল জয় তুলে ফেলে ২৪ বল হাতে রেখে, মালানকে ফিফটির ১ রান দূরে রেখে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তানজিদ হাসান তামিম ৪৪ বলে ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেও ওপাশে তাকে বড় সময় ধরে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। লিটন ১৩ রানে ফেরেন। এরপর আর তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন আটে নামা ফরমানউল্লাহ শাফি, তিনি করেন ২২ রান। দলের অবস্থা কেমন হবে বুঝতেই পারছেন।
বরিশালের বোলারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন তানভির ইসলাম, দিয়েছেন ৩৯ রান, সর্বোচ্চ ৩ উইকেটও নিয়েছেন তিনিই। দুই উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ, একটি করে উইকেট নেন রিপন মণ্ডল, জাহানদাদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ১৩৮ রানে ঢাকাকে বেধে রাখে বরিশাল। পরে তামিমের ফিফটিতে অনায়াসে যা তাড়া করে ফেলে দলটা।