বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার প্রায় ৪৬৫ বিলিয়ন (৪৬ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের সমান। আর খাদ্যপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১৫০ বিলিয়ন (১৫ হাজার কোটি) ডলারের। বিশাল এ বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায়ই নিয়ন্ত্রণমূলক ভূমিকা নিচ্ছে সরকার। বাজার অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি খোলাবাজারে অত্যাবশ্যকীয় কিছু পণ্যের সরবরাহ করা হচ্ছে। মজুদদারি ও বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় পরিচালিত হচ্ছে অভিযানও। যদিও সরকারের এসব পদক্ষেপে ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে কমই। প্রশ্ন রয়েছে খাদ্যপণ্যের বিশাল বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নিয়েও। অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তারা বলছেন, পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। এর পরিবর্তে সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারকে মুক্ত করে দিয়ে প্রতিযোগিতার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই এর সুফল পাবেন ভোক্তারা।
তাদের ভাষ্যমতে, সরকার উৎপাদন বা আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোয় ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু তা না করে অভিযান চালিয়ে বা দাম নির্ধারণ করে তেমন কোনো কাজ হয় না। বরং বাজার থেকে ক্ষেত্রবিশেষে পণ্য উধাও হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। আর অসাধু ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেট তৈরির সুযোগ পায় কেবল সরবরাহ সংকট থাকলে।
জার্মানিভিত্তিক বৈশ্বিক বাজার ও অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্ত সংক্রান্ত ডাটাবেজ স্ট্যাটিস্টার হিসাবে, ২০২৪ সাল শেষে দেশে খাদ্যপণ্যের বাজারের আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারে। চলতি বছর শেষে এর আকার বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১৬৪ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত এ বাজারের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে খাদ্যপণ্যের বাজারের মধ্যে বাজার হিস্যা সবচেয়ে বেশি আটা ও শস্যজাত পণ্যের। খাদ্যপণ্যের মোট বাজারের প্রায় ১৮ শতাংশজুড়ে রয়েছে এসব পণ্য। মাংস ও সবজির বাজার হিস্যা প্রায় সমান। মোট খাদ্যপণ্যের বাজারে এ দুটি পণ্যেরই অংশীদারত্ব ১৪ শতাংশের আশপাশে। মাছ ও সি ফুডের ক্ষেত্রে এ হার ১৩ শতাংশ। দুগ্ধজাত পণ্য ও ডিমের অংশ আছে ১০ শতাংশ। প্রায় সমান হিস্যা ফল ও বাদামজাতীয় পণ্যের। কনফেকশনারি ও স্ন্যাকস এবং তৈরি খাদ্যের ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৯ ও ৭ শতাংশ। সস ও মসলা এবং ভোজ্যতেল ও চর্বির বাজার হিস্যা যথাক্রমে ৩ এবং ১ শতাংশ। শিশুখাদ্য, স্প্রেডস অ্যান্ড সুইটেনার এবং পোষা প্রাণীর খাবারের বাজার অংশীদারত্ব খুবই নগণ্য।
দেশের প্রতি বছরই বড় হচ্ছে খাদ্যপণ্যের বাজার। এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি খাদ্যপণ্যের বাজারদর অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে দেখা যায় নিয়মিতভাবে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকেও (টিসিবি) তৎপরতা বাড়াতে হয়। শুধু বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই সংস্থাটির বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। আবার দায়-দেনায় প্রতিনিয়ত লোকসান বাড়ছে সংস্থাটির। সংস্থাটির পক্ষ থেকে ওএমএসে চাল বিতরণসহ নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হলেও বাজারে এসব কর্মযজ্ঞের কার্যকর প্রভাব দেখা যায় খুব কম।
সরবরাহ না বাড়িয়ে শুধু বাজারে অভিযান চালালে বাজার থেকে বারবার পণ্য উধাও হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাই ঘটতে দেখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার প্রধানতম উপায় হলো সরবরাহ বৃদ্ধি করা। উৎপাদন বা আমদানির মাধ্যমে এটা করতে হয়। তবে সরবরাহ না বাড়িয়ে বাজারে যতই অভিযান পরিচালনা করা হোক, তা কোনো কাজে দেবে না। সরবরাহ সংকট থাকলেই সিন্ডিকেট সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হয়। তাই সিন্ডিকেট বা কারসাজি প্রতিরোধে সরবরাহ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।’
অনেকটা একই অভিমত দিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রিপন কুমার মণ্ডল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আলু যদি কোল্ড স্টোরেজে রেখে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়, তখন হয়তো অভিযানের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সরবরাহ ঠিক না রেখে দাম বেঁধে দিলে কোনো কাজে আসে না।’
দেশে খাদ্যপণ্যের মধ্যে আটা ও শস্যজাত খাদ্যের বাজারই বৃহত্তম। এর মধ্যে দেশে চাল ও আটার মতো অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম বছরজুড়ে অস্থিতিশীল থাকতে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে চালের বার্ষিক চাহিদা সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টনের মধ্যে। সরকারি পরিসংখ্যানে এর চেয়ে বেশি উৎপাদনের কথা বলা হলেও পণ্যটির বাজার প্রায়ই অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়েও আমনের ভরা মৌসুমে দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে পণ্যটির। টিসিবির খোলাবাজারে চাল বিক্রি এ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোয় তেমন একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। আবার পণ্যটির স্থানীয় বাজারে দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের বিপরীত প্রবণতা। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্যমতে, গত এক বছরে দেশের বাজারে চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে একই সময়ে চালের দাম ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।
চালের এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কৃষক বা নিজেদের কোনো হাত নেই বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের ঠাকুরগাঁও রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী সাহাদাত হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দাম তো পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমরা যে দামে কিনি, সে দাম অনুসারে বিক্রি করতে হয়। এটি কৃষকের হাতেও নেই।’
দেশে স্থানীয় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখন মাংস প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে কাজ করছে। ফাস্টফুড চেইনের প্রচলন বাড়ায় প্রক্রিয়াকৃত মাংসের বাজারও সম্প্রসারিত হচ্ছে। ২০২৪ শেষে এ বাজারের আকার দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশিতে। মাংসপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়ার প্রয়াস নিতে দেখা গেছে। তবে তাতে বাজারে প্রভাব পড়ার নজির তেমন একটা নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে ডিম ও মুরগির দাম নিয়েও বেকায়দায় পড়তে হয়েছে সরকারকে। আগস্টের বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর অনেক পোলট্রি ফার্ম ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। পরে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা কার্যকর করা যায়নি। এমনকি ভারত থেকে ডিম আমদানির উদ্যোগ নিয়েও দীর্ঘসূত্রতা ও পরিমাণ স্বল্পতার কারণে সেটিও বাজারে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
দেশের পোলট্রি ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার এখন ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। এ বাজারের আয়তন এখন ১৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ডিমের বার্ষিক মাথাপিছু প্রাপ্যতাও বেড়ে ১৩৩টিতে উন্নীত হয়েছে। দেশের আরেক উদীয়মান খাত কনফেকশনারি। ২০২৪ সালে এ ধরনের পণ্যের বাজারে কেনাবেচা হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার।
শুধু পুলিশি অভিযান দিয়ে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে অভিমত খাদ্যপণ্য বাজারের বৃহৎ উদ্যোক্তাদের। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাজার অস্থিরতা কমাতে নির্দিষ্ট পণ্য নিয়ে পরিকল্পনামতো কাজ করতে হবে। চাহিদা ও সরবরাহের দিকটি দেখতে হবে। গবেষণা না করে বাজারে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান করে চালের দাম কমানো যাবে না। তাই ডিম, পেঁয়াজ, ডাল ও চিনিসহ যেসব পণ্যের দাম নিয়ে সমস্যা হয়, সেগুলোর চাহিদামতো আমদানি করতে হবে। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কাজ না করলে ব্যবসায়ীদের আড়তদার ও মধ্যস্বত্বভোগী মনে করে জেলে দেয়া হবে। না বুঝে পুলিশ দিয়ে এসব করে সমস্যার সমাধান হবে না।’
সরকারি হিসাবে দেশে সবজি উৎপাদন হয় সোয়া দুই কোটি টনের বেশি। খাদ্যপণ্যের বাজারের বড় অংশজুড়ে রয়েছে সবজিপণ্য। মৌসুমভেদে বাজারে বিভিন্ন সবজির সরবরাহে ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে-কমতে দেখা যায়। ভরা মৌসুমে এসব দাম বেশ কমে আসে। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হয়ে পড়ায় উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না কৃষক। আবার উৎপাদন মৌসুমের বাইরে বছরের বাকি সময়ে পণ্যগুলোর বাজারদর ব্যাপক মাত্রায় অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে দেখা যায়। সর্বশেষ গত অক্টোবরে সরকারি উদ্যোগে টিসিবির মাধ্যমে সবজি বিক্রিরও একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সরবরাহ চেইনের সংকট থেকে যাওয়ায় স্বল্প সময়ের এ উদ্যোগ বাজারদর নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।
অন্যান্য খাদ্যপণ্যের মধ্যে মাছ ও সি ফুডের বাজার আয়তন ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এছাড়া ফল ও বাদাম পণ্যের বাজারের আকার এখন ১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। দেশের প্রক্রিয়াজাত তৈরি খাদ্যের বাজার এখন ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। নাগরিক ব্যস্ততা ও জীবনাচরণে পরিবর্তনের কারণে রেডি বা কনভেনিয়েন্ট ফুড হিসেবে পরিচিত এসব পণ্যের বাজারের প্রসার ঘটছে দ্রুতগতিতে।
দেশে খাদ্যপণ্যের বাজারের মূল চালিকাশক্তি এখন স্থানীয় কোম্পানিগুলোই। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে প্রতিযোগিতামূলক বাজারই পণ্যের মূল্য নির্ধারণে বেশি কার্যকর বলে মনে করছেন এসব কোম্পানির উদ্যোক্তারা।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ থাকা উচিত। চাঁদাবাজিসহ যেসব বিষয় সাপ্লাই চেইনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, সেগুলো ঠিক করতে পারলে অনেক কিছুতে ভালো ফল মিলবে। কারণ আর্থসামাজিক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোয় মনোযোগ দিয়ে চাহিদা ও জোগান ঠিক রাখার উপাদানগুলো ঠিক রাখা জরুরি। দর নির্ধারণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়াটা আগেও ভালো কোনো ফল বয়ে আনেনি। একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে স্টেকহোল্ডারদের কথা শোনা উচিত। আমরা বলছি না যে স্টেকহোল্ডারদের কথাই রাখতে হবে। কিন্তু মতামত নিলে গোটা বিষয়টি অনুধাবন তো অন্তত করা যাবে।’
সারা দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্য থেকে স্বাধীনতার পর গড়ে তোলা হয়েছিল টিসিবি। সময়ের পরিক্রমায় সংস্থাটির বিপণন কার্যক্রমের উপকারভোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমানে কার্ডধারীদের বাইরেও পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ নয় বরং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বস্তি দিতেই কাজ করে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানান, টিসিবি নিম্ন আয়ের মানুষকে উদ্দেশ করে বাজারমূল্যের তুলনায় কম দামে পণ্য বিক্রি করে। এর উদ্দেশ্য নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দেয়া। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কার্যক্রম টিসিবি পরিচালনা করে না। তবে বাজার মনিটরিং করে বিভিন্ন পণ্যের বাজারদর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে টিসিবি। দাম নির্ধারণ বা নিয়ন্ত্রণ করে না।
বাজারে কৃষি পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য কাজ করে থাকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ডিএই)। সংস্থাটিও বলছে, দামের ভারসাম্য ঠিক রখার জন্য চাহিদা ও জোগানই আসল বিষয়। ডিএইর মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চাহিদা ও জোগানই বাজারের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে থাকে। তবে সিন্ডিকেট তৈরি হলে বাজারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। আর বাজারে অভিযান পরিচালনার প্রভাব কী, সেটি নিয়ে হয়তো বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে পরে মন্তব্য করা যাবে।’