দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ও সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃশ্যমান শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একের পর এক চোরাগুপ্তা হামলার ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে, যা রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগজনক।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর বার্ণ ইনস্টিটিউটে লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া এক রোগীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ওসমান হাদীসহ যেসব চোরাগোপ্তা হামলা সারা দেশে সংঘটিত হচ্ছে, সেগুলোর দৃশ্যমান শাস্তি দেশের মানুষ দেখতে চায়। মানুষ বিচার দেখতে চায়। এসব ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করার দায়িত্ব সরকারের। সেখানে যদি কোনো ঘাটতি দেখা যায়, তাহলে মানুষ এটাকে নানা ভাবে ভাববে, আতঙ্কিত হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে বড় ধরনের কোনো চক্রান্ত হচ্ছে কি না—তা নিয়েও মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই চক্রান্ত নির্বাচনকে ঘিরে হতে পারে, কিংবা নানাভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেও হতে পারে। এমনকি কোনো বিদেশি শক্তি বা তাদের দেশীয় অনুসারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কি না, সে বিষয়েও জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার জনগণের সমর্থিত সরকার। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমর্থিত সরকার হিসেবে তারা সবকিছু বিচার-বিবেচনা করে দুষ্কৃতিকারীদের শক্ত হাতে দমন করবে—এটাই দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, এটাই মানুষের চাওয়া।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।