Image description

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও কোন দল থেকে প্রার্থী হবেন তা এখনই জানাতে চান না। বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
“রাজনৈতিক বিষয়ে এখন মন্তব্য না করাই ভালো। যথাসময়ে জানাবো। নির্বাচন করব—এটা ঘোষণা দিয়েছি; তবে কোথা থেকে করব তা এখনো বলিনি।”

 

সাম্প্রতিক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যে খবর প্রকাশ করেছে, সেটি স্পষ্ট করতে গিয়ে তিনি বলেন,
“কালবেলাতে যে খবর হয়েছে সেখানে আমি কিছু বলিনি। আমি এখনো কিছু বলছি না। বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যাওয়ার বিষয়ে যে গসিপ চলছে, সেগুলোও ভিত্তিহীন।”

তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না—এমন কোনো আইন নেই, তবে তিনি নিজে নীতিগতভাবে মনে করেন,
“এই পদে থেকে নির্বাচন করা স্বার্থের সংঘাত তৈরি করে। তাই যারা নির্বাচন করবেন, তারা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর আগেই পদত্যাগ করবেন। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাথে আলোচনা শেষে সব সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

 

 

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা ও দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“যদি কোনো অনিয়ম থাকে, দুদক অবশ্যই অনুসন্ধান করতে পারে। কিছু পেলে আমাদের জানাতে পারে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

 

 

 

 

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, রংপুর বিভাগের দারিদ্র হার ২৫ শতাংশ, যা জাতীয় গড় ১৯.২ শতাংশের তুলনায় বেশি। অনেক উপজেলার সাক্ষরতার হার এখনো ৫০ শতাংশের নিচে। এই প্রেক্ষাপটে ৪৪টি উপজেলায় লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন,
“লাইব্রেরি শুধু বই রাখার জায়গা নয়—এগুলো হবে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও সৃজনশীলতার কেন্দ্র। শিক্ষার্থীরা এখানে বই ভালোবাসবে, জ্ঞান আত্মস্থ করবে এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠবে।”

নবনির্মিত লাইব্রেরিগুলোর বৈশিষ্ট্যঃ

* ডিজিটাল লাইব্রেরি
* ই-বুক ও অনলাইন রিসোর্স
* প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা সহায়তা
* আধুনিক পাঠাগার পরিবেশ

তিনি জানান, পাবলিক লাইব্রেরিগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য দুটি নতুন পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে চলছে। পদগুলো অনুমোদন হলে নিয়োগ দিয়ে ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হবে। এর আগে উপজেলা প্রশাসনই লাইব্রেরি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।

প্রতিটি উপজেলার লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য উপজেলা পরিষদকে ৫ লাখ টাকা করে বিশেষ বরাদ্দ* দেয়া হবে।

লাইব্রেরি নির্মাণ ব্যয়সূচীঃ

* প্রতি লাইব্রেরির নির্মাণ ব্যয়: ৫৩ লাখ টাকা
* পুরো প্রকল্প বাজেট: ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা

তিনি বলেন,
“এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ হলেও এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে সুদূর প্রসারী হবে। লাইব্রেরিগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকবে।”

 

উপদেষ্টা আরও জানান,
“৪৪টি লাইব্রেরির কাজ সম্পন্ন হওয়ায় আজ থেকে সারাদেশের বাকি উপজেলাগুলোতেও একই ধরণের লাইব্রেরি স্থাপনের ঘোষণা দিচ্ছি। আশা করি আগামী এক বছরের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন হবে।”

শেষে তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ৪৪টি বহুমুখী লাইব্রেরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।