নির্বাচিত হলে তিনি কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা গ্রহণ করবেন না— এমনকি প্রটোকলও ব্যবহার করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতের এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় শিশির মনির বলেন, ‘আমি কখনো কোনভাবেই সরকারি কোনো বেনিফিট নিব না। যদি আমি নির্বাচিত হতে পারি, সরকার প্রদত্ত ভাতা, এলাওয়েন্স কিংবা সুযোগ-সুবিধা— যা-ই আমাকে দেওয়া হবে, সবটুকুই আমি জনগণের কল্যাণে উন্মুক্ত করে দিব। আমি তার এক পয়সাও নিজের, পরিবারের বা আত্মীয়স্বজনের কল্যাণে ব্যয় করবো না। এটি অনারিয়াম হোক বা অন্য কোনো সুবিধা কোনোভাবেই আমি তা নেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনোদিন ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি ব্যবহার করবো না। সংসদ সদস্যরা ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু আপনাদের দোয়ায় যদি আল্লাহ তাআলার বরকতে আমি নির্বাচিত হই, তাহলে আমি কখনোই ট্যাক্স ফ্রি গাড়ির কোনো সুযোগ সুবিধা নেব না। কেউ আমাকে বলতে পারবে না যে আমি ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি ব্যবহার করেছি।’
প্রশাসনকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, ‘আমি কখনো নিজের স্বার্থে প্রশাসনকে ব্যবহার করতে চাইবো না, করবোও না। প্রশাসন জনগণের স্বার্থে ব্যবহৃত হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নিজের, পরিবারের বা আত্মীয়স্বজনের স্বার্থে কোনোদিন কোনো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবো না।’
প্রটোকল ব্যবহারে তার অবস্থান আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত ব্যক্তিরা আমাদের দেশে প্রটোকল, ভিআইপি লাউঞ্জ, প্রাধান্যসহ নানা সুযোগ নিতে আগ্রহী হন। কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, নির্বাচিত হলে আমি কোনো প্রটোকল কোনোদিনই ব্যবহার করবো না। আমি এখনো প্রটোকল পছন্দ করি না, ভবিষ্যতেও করতে চাইবো না। যারা জনগণের জন্য কাজ করার নিয়ত করে, জনগণই তাদের সর্বোচ্চ প্রটোকল। এর বাইরে নির্ধারিত প্রটোকল নিয়ে নিজেকে আলাদা করে নতুন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার কোনো অর্থ হয় না।’
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরের। তিনি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে তার কোনো পদ নেই বলে জানা গেছে।