Image description

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের মনোনয়ন বাতিল ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। পূজাকে ‘শয়তানের ইবাদত’ আখ্যা দেওয়ার ঘটনায় এই দাবি জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি) আয়োজিত সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদ, বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশন, ভক্ত সংঘ সোসাইটি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু অধিকার পার্টি, সাবাস বাংলাদেশ পার্টি, ঢাকেশ্বরী মাতৃসেবা সংঘ, বাংলাদেশ সনাতন জোট, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু পরিষদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা হারুনুর রশীদের ‘বিদ্বেষপ্রসূত ধর্মীয় কটূক্তিমূলক মন্তব্য’ প্রত্যাহার করে দ্রুত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘রেইনবো বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেই সময় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মনোনীত প্রার্থীর সনাতন ধর্মের পূজা শব্দ নিয়ে এই ধরনের কুরূচিপূর্ণ ধর্মীয় কটূক্তিমূলক বক্তব্য জাতীয়তাবাদী আদর্শের পরিপন্থী। আমরা অনতিবিলম্বে দল থেকে হারুনুর রশীদের বহিষ্কার ও মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশে বিএসপি)- এর সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের সময় সাম্প্রদায়িকতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের চাকরিচ্যুতকরন, জমি দখল, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও ওয়াজ মাহফিলে সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হচ্ছে, কিন্তু সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে।’

এ সকল বিষয়ে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান অনুপ দত্ত।

দলটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক,  ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রদীপ কান্তি দে, রাজেস নাহা, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র সাজন কুমার মিশ্র, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা, সাধারণ সম্পাদক পলাশ দেবনাথ, বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের সভাপতি বরুন সরকার, সন্তোষ দাস, ইন্দ্রজিৎ মন্ডল, ভক্ত সংঘ সোসাইটির বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অনীল পাল, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘের সভাপতি পিযুস দাস,  বাংলাদেশ সংখ্যালঘু অধিকার পার্টির সভাপতি প্রসনজিৎ কুমার হালদার, সৌরভ গাঙ্গুলি সকাল, সাবাস বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান  নিউটন অধিকারী, ঢাকেশ্বরী মাতৃসেবা সংঘের নান্টু দাস, মানবাধিকার কর্মী সুমা বড়াল ইমিতা মন্ডল, বাংলাদেশ সনাতন জোটের সজল চন্দ্র দাস, জগন্নাথ হল সংসদের সাধারন সম্পাদক সুদীপ্ত প্রমানিক, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটর অসীম কুমার শীল, গৌতম দাস প্রান্ত,  জাগো হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিতাই দেবনাথ, বাংলাদেশ সনাতন পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি টনি দাস, সাধারণ সম্পাদক অবিরাম সূত্রধর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।