কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ আসনে একাধিকবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের নবীন প্রার্থী কামরুল হুদা। কামরুল হুদা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি। এটা সংসদ নির্বাচনে তার প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ আসনে বিএনপি একবার এবং জামায়াতে ইসলামী একবার বিজয়ী হয়েছিল। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী একেএম কামরুজ্জামান এ আসনে জয়লাভ করেন। তিনি মোট ৪০.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই দলটির মনোনীত প্রার্থী অংশ নিলেও ৩৬.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এরপর এই আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী দেয়নি। ২০০১ সাল থেকে জোটের শরিক জামায়াতকে এ আসনটি ছেড়ে দেয়।
২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ওই বছর তিনি মোট ৬৪.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জোট সমর্থিত জামায়াত থেকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ৪০.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
সর্বশেষ সংসদে এ আসনটি ছিল আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক মুজিবের দখলে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চৌদ্দগ্রাম আসনটি এখনো ত্রিদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনাময় একটি এলাকা। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকায় বিএনপি সুবিধা পাবে বলে ধারণা করেছেন অনেকেই। এখানে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানে থাকলেও বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই ঐতিহাসিক ভোটব্যাংক এখানে রয়ে গেছে।