Image description
 

ছাত্রশক্তি (বাগছাস) এর সদস্যসচিব শাহিন মিয়া বলেছেন, “ছাত্রদলের পেশিশক্তির চাপে নির্বাচন পেছাতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন।”

 

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শাহিন মিয়া লিখেছেন, “ছাত্রদলের পেশিশক্তির চাপে নির্বাচন পেছাতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো, ইনশাল্লাহ।”

 

এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশক্তি নেতারা অভিযোগ করেন, ছাত্রদল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে এবং জাতীয় নির্বাচন ও ছাত্রসংসদ নির্বাচনকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছে।

 

শাহিন মিয়া বলেন, “একটি সংগঠন নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে এবং আরেকটি সংগঠন তারাহুড়ো করে নির্বাচন দিতে চাইছে। আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা অবাধ অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সবাই সমান সুযোগ সুবিধা পাবে।

একটা ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশন যেভাবে করা যায়, প্রশাসন যেন সেই রকম নির্বাচনের সময় ঘোষণা করে। কোনোভাবেই যেন তারা প্রভাবিত না হয়। নির্বাচন কমিশনের যে বোল্ড থাকা উচিত ছিল, আমাদের সামনে তারা আজ তা দেখাতে পারেনি।”

এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন দেখছি একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

এ বিষয়ে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “জকসু আইন প্রণয়ন ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, অথচ এখন ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। নির্ধারিত সময়ে প্রশাসন যদি নির্বাচন দিতে না পারে, তবে তা হবে প্রতারণা।

জুলাই পরবর্তীতে জকসু আদায়ের জন্য আমরা আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা জানতে চাই নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে কি নির্বাচন ভণ্ডুল করার প্রক্রিয়া চলছে? ডিসেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষা ও সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে, তাই আমরা মনে করি নভেম্বরই মোক্ষম সময়।

আমরা চাই জীবনের প্রথম নির্বাচনের ভোট নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক। প্রশাসন যেন সংকট মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ সৃষ্টি করে।”