জুলাই সনদের আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে গণভোটসহ ৪টি প্রস্তাব দিয়েছে ন্যাশনাল ওলামা অ্যালায়েন্স।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনস্থ বিএমএ মিলনায়তনের শহিদ শামসুল আলম সভাকক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সনদের আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি এখনও সুস্পষ্ট নয়—এই আশঙ্কা থেকে “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে তরুণ আলেমদের ভাবনা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে ন্যাশনাল ওলামা অ্যালায়েন্স (এনইউএ)।
আলোচনায় অংশ নেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (মুখ্য সমন্বয়ক, এনসিপি), সারওয়ার তুষার (যুগ্ম আহ্বায়ক, এনসিপি), মাওলানা রেজাউল করিম আবরার (সাধারণ সম্পাদক, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ), মাওলানা রিদওয়ান হাসান (সভাপতি, সাধারণ আলেম সমাজ), মাওলানা মাবরুরুল হক (সভাপতি, তরুণ আলেম প্রজন্ম), মাওলানা ফজলুল করিম মারুফ (দাওয়াহ সম্পাদক, আইএবি), মুফতি মাওলানা ইফতেখার জামিল, চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি।
বক্তারা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি নিশ্চিত করা সরকারের প্রথম দায়িত্ব।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ওলামা অ্যালায়েন্সের প্রস্তাব:
১. ড. ইউনূস সনদের ওপর আদেশ জারি করবেন।
২. আদেশের ভিত্তিতে গণভোট আয়োজন করা হবে।
৩. গণভোটের মাধ্যমে সনদের সাংবিধানিক বৈধতা প্রতিষ্ঠা পাবে।
৪. জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণই হবে সনদের বাস্তবায়নের শক্ত ভিত্তি।
বক্তারা আরও বলেন, নোট অব ডিসেন্ট থাকা কোনো অস্থিতিশীলতার ইঙ্গিত নয়; বরং জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ প্রশ্নের সমাধানই হবে গণতান্ত্রিক ও বাস্তবসম্মত পথ। তরুণ আলেম সমাজ বিশ্বাস করে—জুলাই সনদের সঠিক বাস্তবায়ন শুধু নির্বাচনী প্রক্রিয়া নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের ভিত্তি সুদৃঢ় করবে।
সভায় বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার ও জনগণ একযোগে জুলাই সনদের আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা নিশ্চিত করে গণভোটের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন সম্পন্ন করবে। এটি হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা।