Image description

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে হারুন অর রশিদ নামে এক বিএনপি নেতাকে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, একটি কুচক্রী মহল ও আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলার আসামি করেছে।

হারুন অর রশিদ টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সহ-সভাপতি। এর আগে তিনি সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং গাজীপুর মহানগর বিএনপির প্রথম কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকার বাড্ডা থানায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের এসএম নাজমুল আলম নামে এক ব্যক্তি।  এ মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামালসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। সেই তালিকার ৩৩১ নম্বর আসামি করা হয়েছে হারুন অর রশিদকে।

হারুন অর রশিদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ শাসনামলে কলেজকে কেন্দ্র করে একটি চক্র লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতি বন্ধ করে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করেছি। এই কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
 
তিনি আরও বলেন, জীবনভর জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী থেকে আওয়ামী লীগের সময়ে তিনটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার আসামি হয়েছি। এবারও সেই কুচক্রী মহল আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চাই এবং মামলার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানাই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু দোসর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি একজন সজ্জন ব্যক্তি, আদর্শ শিক্ষক এবং বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ নেতা।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা প্রকৃতপক্ষে দোষী নন, তাদের হয়রানি করা হবে না।