Image description
 

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, সম্মান জোর করে অর্জন করার বিষয় নয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন, আবার যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আমরা মহান আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। 

 

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব লিখেছেন।

তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের রব সন্তুষ্ট হয়ে এই দুনিয়ায় যতটুকু সম্মান দিতে চান, বান্দা হিসেবে সেটাই যথেষ্ট। তবে পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে হলেও তিনি যেন আখেরাতে আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, তার জান্নাতে কবুল করেন, আমীন। 

জাহিদের পোস্টের কমেন্টবক্সে মো. ফয়সাল আহমেদ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, হেরে যাবে ওদের হিংসা আর ষড়যন্ত্র, জিতে যাবে আমাদের ভালোবাসা। 

 

 

 

এর আগে ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবু সাদিক (কায়েম), বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আল-জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটের সদস্য সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরকে নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি লেখেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটা টকশোতে বলেছেন- ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল, শিবিরের ইনস্ট্রাকশনে আমরা কাজ করতাম। এটা মিথ্যাচার।

নাহিদ আরও লেখেন, সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় সাদিক কায়েম গণমাধ্যমকে বলেন, যখন খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়, সেই সময় সরকার গঠন এবং পরবর্তী সময়ে, আমি কখনও ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে কোথাও গিয়ে কোনো কিছু দখল বা আত্মসাৎ করেছি, এমন একটি সিঙ্গেল ডকুমেন্টও কেউ দেখাতে পারবে না।

এই শিবির নেতা আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমাদের মূল সারির যারা সমন্বয়ক ছিলেন, তারা যখন ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত অনুপস্থিত ছিলেন, তখন আমি কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই সত্য কিছু ঘটনা আমি মাঝেমধ্যে আমার আলাপে এনেছি। যখন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট হয়, কারফিউ জারি হয়, তখন সব কিছু বিচ্ছিন্ন ছিল। সেই সময় নয় দফা ফরমেশন, আমাদের দ্বিতীয় সারির সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ, তাদের সেফ হাউসে রাখার ব্যবস্থা, পাশাপাশি সব মিডিয়া হাউসে নয় দফা পৌঁছে দেওয়া; ১৯ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের কর্মসূচি প্রণয়ন এবং দেশি-বিদেশি অসংখ্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা—এসব করেছি।