Image description
 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ হবে না।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশ’ আয়োজিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন ও আলোচনা সভায় মঈন খান এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী ৫ আগস্ট যদি সত্যিই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয় এবং যে মাসেই সেই নির্বাচনের সময় দেওয়া হোক না কেন, তা নিয়ে এতো ভাবনার কারণ নেই।

 

নির্বাচনের পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতির গভীরে গেলে দেখা যাবে- জনগণ একটি দলকে ভোট দিচ্ছে, একজন ব্যক্তিকে নয়। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ হবে না। অন্য দেশ আর আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা এক নয়। তাই পিআর পদ্ধতি এখানে কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে।

 
 

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট’ নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ পরবর্তী সরকার কতটা বৈধতা দেবে, তাও চিন্তা করতে হবে; বিশেষ করে সংস্কার ও ইত্যাদি বিষয়। তাদের এখন এক্সিট পলিসি নিয়ে চিন্তা করার সময় এসে গেছে। পাশাপাশি এই অল্প সময়ে তারা আর কী কী অর্জন করে বের হয়ে যেতে চান, তা বলার সময় হয়ে গেছে।

 

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। যতটুকু না করলেই নয় ততটুকু সংস্কার করা উচিত।

দেশে গত ১৭ বছরে গণতন্ত্রের পথচলা যে বাধাগ্রস্ত হয়েছে, বিএনপি তা এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অনেক বেশি সময় দেওয়া হয়েছে। এ সরকার আরও বেশি সময় ধরে থাকলে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকবে না। আর সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে সরকারের কথা বলা উচিত নয়। এর মাধ্যমে সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চায়।

এতে আরও বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।