Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সক্রিয় হয়েছেন পিরোজপুরের তিনটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এর মধ্যে দুটি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই লড়তে যাচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থিতার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পিরোজপুর-১ আসনে সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদী এবং ও ২ আসনে লড়বেন শামীম সাঈদী। এ ছাড়া পিরোজপুর-৩ আসনে অধ্যাপক শরীফ আব্দুল জলিলের নামও ঘোষণা করেছে জামায়াত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এলাকায় সাঈদী পরিবারের ভালো ইমেজের কারণে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদীকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ধরে মাঠে সক্রিয় বিএনপি প্রার্থীরা। তবে জেলায় দলটির ১৪ প্রার্থী মনোনয়ন চাচ্ছেন। এর মধ্যে একটি আসনেই প্রার্থী হতে চান ৮ জন। তবে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত এনসিপি বা অন্য কোনো দলের এখন পর্যন্ত সাড়া নেই। ফলে পিরোজপুরের তিনটি আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে একসময়ের জোটসঙ্গী বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীদের মধ্যে।

নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, দেশের মানুষ গত ১৬ বছরে কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এবার তারা নিজের ভোটটি দিতে পারবেন বলে আগ্রহভরে প্রত্যাশা করছেন। এ কারণে পিরোজপুরের সবখানেই এখন আলাপের অন্যতম প্রসঙ্গÑনির্বাচন কবে হবে আর প্রার্থীই-বা হচ্ছেন কারা।

পিরোজপুর-১ (সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী)

পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-১ আসন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে ৭৩-এর প্রথম নির্বাচনে এ আসনে এনায়েত হোসেন খান এবং ৭৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে শুধাংশু শেখর হালদার নির্বাচিত হন। ৮৬-এর বিতর্কিত নির্বাচনে জয়ী হন সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার। ৯১-এ ফের নির্বাচিত হন শুধাংশু শেখর। ৯৬-এর নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর তীব্র লড়াইয়ে শুধাংশুকে ২৭৮ ভোটে হারান।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাঈদী তার নির্বাচনি এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায়সহ ব্যাপকভাবে কাজ করায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ফলে ২০০১-এর নির্বাচনে তিনি ৩৪ হাজার ৭৭৭ ভোটের বিশাল ব্যবধানে শুধাংশুকে হারান।

এই আসনে মোট ভোটারের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হিন্দু ভোটার থাকার পরও এখান থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নেতা আল্লামা সাঈদী। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় ও ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগিয়ে এবং ভোটারদের মনে ঢুকে নির্বাচিত হতে হবে বলে ধারণা অভিজ্ঞ মহলের।

এ আসনে এবার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। তিনি ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর থেকেই নির্বাচনি মাঠে সরব। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও জোটবদ্ধভাবে বিএনপি নির্বাচন করায় জোটের স্বার্থে সরে দাঁড়ান। তিনি আশা করছেন, এবার তিনিই হবেন এ আসনে বিএনপির প্রার্থী। তা সত্ত্বেও দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, দেশ ও দলের স্বার্থে তা মেনে নেবেন বলে জানান তিনি।

আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী। বহু আগে থেকেই তিনি এ আসনে গণসংযোগ করছেন। মাসুদ সাঈদী জানান, পিরোজপুরকে একটি বাসযোগ্য জেলা হিসেবে গড়তে চান, যা ছিল তার বাবার স্বপ্ন। তিনি এমন প্রান্তিক লেভেলে উন্নয়ন করতে চান, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

এ বিষয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আমাদের সংগঠন, আমাদের পরিবার দুর্নীতিমুক্ত। দুর্নীতিমুক্ত থেকেই পিরোজপুরের উন্নয়ন করতে চাই।

আসনটিতে প্রার্থী হতে চান নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান। ২০১৫ সালের উপজেলা নির্বাচনে তিনি কারান্তরীণ থেকে নির্বাচিত হন। নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনামলে যারপরনাই নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এ কারণে ত্যাগী হিসেবে মনোনয়ন চাইছি।

এ আসনে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য শিক্ষানুরাগী এম আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন সময় পোস্টারিং করে তিনি ভোটারদের তার প্রত্যাশার কথা জানান ও গণসংযোগ করেন।

এ ছাড়া পতিত আওয়ামী সরকারবিরোধী আন্দোলনে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি এলিজা জামানও এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ)

ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-২ আসন। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণসংযোগ শুরু করেছেন বিএনপি ও জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

এলাকাবাসী জানায়, পিরোজপুর-২ আসনের শক্তিধর প্রার্থী আল্লামা সাঈদীর মেজো ছেলে শামীম সাঈদী। তিনি ২০১৮ সালে পিরোজপুর-১ আসনে প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমকে নির্বাচিত করা হয়। এবার জামায়াত শামীম সাঈদীকে এই আসনে মনোনয়ন দিচ্ছে। ধর্মীয় ছাড়াও বিভিন্ন উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ করছেন সাঈদীপুত্র শামীম।

শামীম সাঈদী বলেন, গত ৩ টার্মসহ মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম কোনো নির্বাচনেই ভোট দিতে পারেনি। তাদের প্রত্যাশাÑঅন্তর্বর্তী সরকার দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে। তিনি আরো বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঐক্য জামায়াতে ইসলামীও কামনা করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সাঈদী পরিবারের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও ক্লিন ইমেজ। তাছাড়া আওয়ামী সরকারের মিথ্যা অভিযোগের সাজানো মামলায় সাঈদীর সাজা এবং সর্বশেষ তার অস্বাভাবিক মৃত্যুÑএসব নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। ফলে এবারের নির্বাচনে তার দুই ছেলের অবস্থান শক্ত বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

এদিকে আসনটিতে বিএনপির হয়ে মনোনয়ন চাইবেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী অহিদুজ্জামান লাভলু। তিনি সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম গাজী নুরুজ্জামান বাবুলের ছোট ভাই। লাভলু ইতোমধ্যেই এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন ভাণ্ডারিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আহাম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের বেসামরিকপ্রধান বরিশাল সদর ও পিরোজপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের ছেলে তিনি। ২০১৮ সালে এ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে মনোনয়ন পেলেও পরে দলীয় সিদ্ধান্তে সুমন তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

সোহেল স্বৈরাচার হাসিনা পতনের আন্দোলনে হামলা-মামলার শিকার হন। ইতোমধ্যেই তিনি ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন।

গণসংযোগ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে বহুবার পুলিশি নির্যাতনের শিকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির পরিবার কল্যাণবিষয়ক সহসম্পাদক ও ড্যাবের (ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল কবির।

এ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির তরুণ রাজনীতিক ও পিরোজপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাজু মুনতাসীর। তিনিও এলাকায় গণসংযোগ করছেন।

২০২৩-এ বিএনপিতে যোগ দেওয়া আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ধনাঢ্য মাহমুদ হোসেন। বিএনপিতে যোগ দিয়ে তিনি আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। এবার তিনিও গণসংযোগ করছেন।

এ আসনের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দুবারের উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আহসান কবির। হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে একাধিক মামলার আসামি আহসান ২০১৮ সালেও দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তিনিও এলাকায় গণসংযোগ করছেন।

এ ছাড়া দলের মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে নাম লেখাতে চান নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মো. ফখরুল আলম। ফখরুল ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া)

জেলার সর্বদক্ষিণের একমাত্র উপজেলা মঠবাড়িয়া নিয়ে পিরোজপুর-৩ আসন। আসনটিতে মঠবাড়িয়া উপজেলা জামায়াতের আমির শরীফ আবদুল জলিল প্রার্থী হচ্ছেন। স্থানীয় একটি কলেজে অধ্যাপনা করা এই প্রার্থী বেশ আগে থেকেই সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগতভাবে গণসংযোগ করছেন। শরীফ আবদুল জলিল জানান, লেভেল প্লেইং ফিল্ড হলে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি ও তার দল আশাবাদী।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রুহুল আমীন দুলাল। যদিও তিনি বহিষ্কৃত। তিনি জানান, দলের মধ্যে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে বহিষ্কার হতে হয়। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য তিনি তার নেতা তারেক রহমান বরাবর আবেদন করেছেন। তিনি ২০১৮-এর সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তবে দলে ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের প্রিয় এ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়ে ত্যাগী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন বলে প্রত্যাশা তার। সেই প্রত্যাশায় সক্রিয় থেকে গণসংযোগ করছেন তিনি।

এ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ূন কবির। বহু মামলার আসামি ও চারবার কারাবরণকারী হুমায়ূন।

এদিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভোটার তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তাদের ধারণা, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনের নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে। আবার নির্বাচন কমিশন চাইলেই যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবেÑএ বিষয়ে অনেকের রয়েছে সংশয়। তবে সবাই চান, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের প্রত্যাশা একটি ভালো নির্বাচন, যেখানে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে শঙ্কাহীন পরিস্থিতিতে ভোট দিতে পারবেন তারা।

এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) পিরোজপুরের সহসভাপতি আফজাল হোসেন লাভলু বলেন, অনেক বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবার সবার আশা যেন তারা ভোটটি দিতে পারেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু রাজনীতিকের বক্তব্যে তিনি সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে আমরা আশাবাদী। তবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যাপারে আমরা সচেতন থাকব।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) পিরোজপুর শাখার সভাপতি আতা-ই রব্বানী ফিরোজ মনে করেন, এবারের নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিকরা দেশের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। সুতরাং সবার কাম্য হওয়া উচিত আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হোক।

পিরোজপুর শহরের নতুন প্রজন্মের দুই নতুন ভোটার আজমাইন নূর রেজা ও শাইরা সাহিদ নূর জানিয়েছেন, তারা একটি সুন্দর নির্বাচন চান, যাতে তারা কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন তাদের ভোটটি আছে এবং তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছেন।