
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ফেনীর উত্তরাঞ্চলের মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বাঁধ এরকম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে না, এটি আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরজন্য আরও শক্তিশালী বাঁধ প্রয়োজন। বেড়িবাঁধের কাজ কোনো ছোটোখাটো বিষয় নয়। এটি অনেক বড় প্রকল্প। সুতরাং এটির জন্য কারিগরি দক্ষতা থেকে শুরু করে অনেক আয়োজন-উদ্যোগ রয়েছে। সবকিছুই এক নম্বর হতে হবে। কারণ বারবার এতো বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করা যাবে না। এর জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরের দিকে ফেনীর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত এ বড় প্রকল্প যথাযথভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে সম্পন্ন করেন তা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি ভাবছে সরকার। তবে, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এখানে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সবাই যেন ত্রাণ সহায়তা যথাযথ পান সেজন্য দেখতে এসেছি। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় যেসব সমস্যা হচ্ছে, এগুলো জানতে এসেছি।এছাড়া পরিদর্শনকালে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত বানভাসিদের মধ্যে অনেকেই উপদেষ্টার কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তাদের ক্ষোভের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন তিনি।পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, ফেনীস্থ-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় তিনি ফুলগাজীর মুন্সিরহাট আলী আজ্জম স্কুল অ্যান্ড কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র ও দক্ষিণ শ্রীপুর পূর্বপাড়া এলাকায় মুহুরী নদীর ভাঙন স্থান এবং ছাগলনাইয়া উপজেলার বিদ্যাকুটির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হরিপুর আলহাজ্ব শাহ মাহবুবুল আলম ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।