
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভূমিকা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকছে। দুস্কৃতিকারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য দল থেকে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোন সহযোগিতা করছে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন খুব একটা সক্রিয় হয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলকাঠি নাড়ছেন বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমাজ সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ বিপন্ন হয়ে পড়বে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী আমলে কালো টাকা ও তাদের দোসরদের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ তৎপরতার কারণে দুষ্কৃতিকারীরা আশকারা পাচ্ছে এবং সমাজে নৈরাজ্য তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কাউকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বর্তমান সময়ে নানাবিধ সামাজিক অপরাধের বিভিন্ন মাত্রার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচার’ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবৈধ কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতার প্রভাবে ‘মব কালচার’ এর নামে সমাজে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছে। আবার অন্যদিকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপি’র নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার মূলমন্ত্র বুকে ধারণ করেন বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্রের মূলনীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেই শত প্রতিকূলতা ও ঝড়ঝাপটা অতিক্রম করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে। সব ধর্ম ও বর্ণের সজ্জন মানুষ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশায় যুক্ত ব্যক্তিরা এই দলের সদস্য হতে পারেন। সমাজ বিরোধী কোন ব্যক্তি, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের স্থান এই দল বরদাশত করে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাত্তার পাটোয়ারী, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আউয়াল প্রমুখ।