
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে খুনিদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) জমিয়তের প্রচার সম্পাদক মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, “জুলাই মাস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রক্তাক্ত অধ্যায়। ২০২৪ এর এই দিনে দেশের ছাত্র সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার চাকুরীতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, পলাতক মানসিকতার শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অনেক ছাত্রকে শহীদ করে। জুলাই শুধু শোকের নয়, জাগরণের মাস। শহীদদের রক্তের প্রতি আমাদের দায়িত্ব একটি ইনসাফভিত্তিক, স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও ইসলামি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার।”
নেতারা বলেন, “জুলাই মাসে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে যেভাবে সারাদেশে গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, তা ছিল অত্যন্ত ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী। সরকারের দমন-পীড়ন, গুম-খুন, দুর্নীতি ও গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে ছাত্রদের এই আন্দোলনই পরবর্তীতে জনতার সর্বাত্মক গণজাগরণে রূপ নেয়। এই আন্দোলনের চাপে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এটি শুধু ছাত্রদের নয়, বরং পুরো জাতির বিজয়। এই বিজয়ে আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তারা আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে স্বৈরতান্ত্রিকভাবে দেশ শাসন করা জালিম সরকার পালিয়ে গেছে। এই পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকার উন্নয়নের নামে দেশকে লুট করেছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছে, গুম-খুনের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে।ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলন এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা এই অপশাসনের যবনিকা টেনেছে। এটা নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমত ও জনগণের বিজয়।”
নেতারা বলেন, “সমস্ত ইসলামী ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী চেতনা রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসিবাদ, জুলুম ও লুটপাটের চক্র আবার ফিরে আসবে।”