
রাজীব আহাম্মদ
সামাজিক মাধ্যম এবং টকশোতে নিয়মিত বলেন, এমন কয়েকজনের আলাপে ধাক্কা খেয়েছি। তাঁরা জুলাই সনদ ও বাস্তবায়ন নিয়ে পাবলিক ফোরামে বললেও, কথায় মনে হল সনদটি পড়ে দেখেনি বা বাস্তবায়ন পদ্ধতির সাংবিধানিক বিতর্ক জানেন না। তাই চিন্তা করলাম সহজ ভাষায় সনদ সম্পর্কে লেখি, কোন দলের কী যুক্তিসহ। কারণ, পত্রিকায় দিস্তা দিস্তায় লেখা হলেও, তাতে সহজ ভাষায় এবং তর্ক পাল্টা তর্ক লেখা হয় না।
১. সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুদক, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারে গঠিত ছয়টি কমিটি ১৬৬টি সুপারিশ করেছিল। রাজনৈতিক দলের সংলাপে ৮৪টি টিকেছে। যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে একটি কাউন্সিল গঠনের সুপারিশ ছিল। সংলাপে বাদ গেছে।
২. ৮৪টি সিদ্ধান্ত হয়েছে দলগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে। ১১ সিদ্ধান্তে বিভিন্ন দলের নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) রয়েছে। বিএনপি সর্বোচ্চ ৯টিতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ, পিআর পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, দুদক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন পদ্ধতির শেষের দুই ধাপ।
৩. বিএনপিও উচ্চকক্ষ চায়। তবে চায়, বর্তমানে নারী আসন আসন যেভাবে বণ্টন হয়, সেভাবে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে। অন্যদের যুক্তি হচ্ছে, এতে কাজের কাজ হবে না। উচ্চকক্ষ হয়ে যাবে নিম্নকক্ষের রেপ্লিকা।
৪. উচ্চকক্ষের কাজ কী হবে? উচ্চকক্ষের দরকারটা কী? আরও ১০০ চোর তৈরি হবে, এমন ব্লা ব্লা আলাপ হচ্ছে টকশোতেও।
বাজেট, অর্থবিল উচ্চকক্ষে যাবেই না। সংসদের নিম্নকক্ষে ফয়সালা হবে। কোনো আইনের বিল নিম্নকক্ষে পাসের পর, একবার উচ্চকক্ষে যাবে। উচ্চকক্ষে পাস করতেও পারে, নাও করতে পারে। বিলটি নিম্নকক্ষ আবার পাস করলে, আইনে পরিণত হবে। আবার উচ্চকক্ষ কোন বিল দুই মাস আটকে রাখলে, তা পাস বলে গণ্য হবে। ফলে সরকারের কাজ বিঘ্নিত হবে না। বাজেট এবং আইন প্রণয়ন সরকারের কাছেই থাকবে।
উচ্চকক্ষের কাজ মাত্র একটি, সংবিধানের সুরক্ষা। অতীতে, কোন কোন দল ৪০ থেকে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েও ২০৩ থেকে ২৫৩ আসন পেয়েছে। ফলে সংবিধান সংশোধনের অবারিত ক্ষমতা পেয়ে যা খুশি করেছে। যেমন, শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেন। যে কারণে তিনটি ভুয়া নির্বাচন হয়েছে। তা ঠেকাতেই পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ।
ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধনে নিম্নকক্ষে বর্তমান নিয়মে ২০০ এবং উচ্চকক্ষে ৫১ এমপির সমর্থন লাগবে। উচ্চকক্ষে ৫১ আসন পেতে কমবেশি ৫১ শতাংশ ভোট পেতে হবে। (যদিও কমিশনের প্রস্তাব ছিল উচ্চকক্ষেও দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৬৭ এমপি লাগবে। বিএনপিকে পিআরে রাজি করাতে তা কমানো হয়েছে)
এখানে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হল, সনদে নিম্নকক্ষে পিআর নেই। যা জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন চাইছে। নিম্নকক্ষে পিআর শুনতে ভালো শোনালেও, এর নেতিবাচক দিক এবং প্রয়োগিক জটিলতা বেশি। কোন দলের পক্ষে একা ৫১ শতাংশ ভোট পাওয়া কঠিন। ফলে জোট সরকারই হবে নিয়তি। তার মধ্যে প্যাচ লেগেই থাকবে। তাই নিম্নকক্ষে পিআর করা যাবে না, যাবে না, যাবে না। আবার সংবিধানের সুরক্ষার জন্য উচ্চকক্ষে পিআর ছাড়া পথ নেই।
যেসব অসাধারণ কাজ হয়েছে—
৫. সব দল প্রধানমন্ত্রীর পদ ১০ বছরে নির্ধারণে একমত হয়েছে। কমিশনের প্রস্তাব ছিল দুইবার। পরে বিএনপির প্রস্তাবে তা ১০ বছর হয়েছে।
৬. বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য, সব আদালতকে সরকারের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে আনা, বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে মুক্ত করা, হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগে স্থাপন করা, উপজেলায় আদালত স্থাপন, পৃথক ফৌজদারি তদন্ত সংস্থা, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুসহ খুবই ভালো কিছু সংস্কারে সবদল একমত।
৭. সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়েছে নির্বাচন কমিশনে গঠনে। আর প্রধানমন্ত্রী নন, ভবিষ্যতে সাংবিধানিক কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেবে। এ কমিটিতে থাকবেন, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি। ফলে ভবিষ্যতে নুরুল হুদা মার্কা কমিশন পাওয়ার আশঙ্কা কম।
৮. সংসদে ডেপুটি স্পিকার, সরকারি হিসাবসহ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ এবং এমপির সংখ্যানুযায়ী মন্ত্রণালয়ে স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দিতে ঐকমত্য হয়েছে।
৯. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, সরকারি চাকরিজীবীদের স্থানীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে দেওয়া হয়েছে। (অবশ্য বিএনপি রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা দিতে রাজি নয়। দলটির যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাবেন। তাই অর্থনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ সরকারের কাছে থাকা উচিত। অন্যদের যুক্তি ছিল, শেখ হাসিনা আমলে অনুগত গভর্নর থাকায়, এস আলম ব্যাংক লুটে খালি করে দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুই করেনি। দুইপক্ষের যুক্তিই শক্তিশালী)।
১০. সবচেয়ে বড় কাজ স্বাধীন পুলিশ কমিশন। কমিশন সদস্যরা পুলিশের হবেন না। এ কমিশন প্রতিষ্ঠানে হলে, যে কেউ পুলিশের যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারবে। কমিশন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারবে। পুলিশের ওপর এমপি, মন্ত্রী বা যে কেউ চাপ দিলে, এরও অভিযোগ দিতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা।
আরও যেসব ঐকমত্য হলে ভালো হত—
১. দুদক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নাকি নিয়োগ স্বাধীন হবে- এ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। ক. আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, খ. কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, গ. সিএজি, ঘ. পিএসসি চেয়ারম্যান, ঙ. সংসদ নেতার প্রতিনিধি এবং চ. বিরোধী দলীয় নেতার প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে দুদক গঠনের সিদ্ধান্ত রয়েছে সনদে।
বিএনপি দুদক গঠনে শক্তিশালী আইন চাইলেও, তা সরকারের কাছে রাখতে চায়। তারা মনে করে, দুদকের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে। অন্যদের যুক্তি, দুদক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে, আগের মতই বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। (দুই পক্ষের যুক্তি শক্তিশালী)।
২. সনদে বলা হয়েছে, অন্যান্য ধাপ ব্যর্থ হলে সরকারি, প্রধান বিরোধী দল এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের (ক্রস চয়েজ পদ্ধতি। বিস্তারিত একটু দীর্ঘ) প্রস্তাবিত নাম থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রতিনিধির কমিটি। ৪-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হলে, বিচার বিভাগের দুইজন প্রতিনিধি যুক্ত হবেন কমিটিতে। কমিটি র্যাংক চয়েজ ভোটে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন।
বিএনপি শেষের এই দুটি ধাপের বিরোধী। তারা বলছে, ঐকমত্য না হলে ত্রয়োদশ সংশোধনীর বিচার বিভাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবে। অন্য দলগুলো বলছে, প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার লোভে অতীতের মত বিচার বিভাগ কলুষিত হতে পারে। জামায়াত প্রথমে বিএনপির সঙ্গে একমত হলেও, পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনেছে।
বাস্তবায়ন পদ্ধতি বিতর্ক—
শেষ আলাপ হল, সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? যেসব সংস্কার বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন লাগবে না, সেগুলো নিয়ে কারো আপত্তি নেই। সংবিধান সংশোধন করতে হবে, এমন ৩৪টি নিয়েই ঝামেলা। কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল সাংবিধানিক আদেশের মতামত দিয়েছে।
১. বিএনপি, এনডিএম, লেবার পার্টি, ১২ দল, ১১ দলীয় জোট, গণফোরাম চায়, পরের সংসদে হবে সংবিধান সংশোধন।
২. জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল চায় প্রভেনশিয়াল সাংবিধানিক আদেশ এবং গণভোট।
৩. এনসিপি, জেএসডি, গণ সংহতি চায় গণপরিষদ/সংবিধান সভা।
এসব মতামতের পক্ষে বিপক্ষে যেসব যুক্তি—
১. বিএনপি মনে করে বর্তমান সরকার সাংবিধানিক। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ আদালতের রায়ে গঠিত। সাংবিধানিক ধারবাহিকতা রয়েছে। এমন সরকারের সাংবিধানিক আদেশ জারি বা সংসদের বাইরে সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই।
২. জামায়াত এবং এনসিপির যুক্তি, সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকার বলে কিছু নেই সংবিধান। ফলে এই সরকার এক্সট্রা সাংবিধানিক। সরকারের সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক, জনগণের 'অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি' হিসেবে গঠিত। জনগণের অভিপ্রায়ে ৫ আগস্ট হাসিনার পতন ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে সংবিধান আর কার্যকর নয়। কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতা (বাংলা নেই ভালো। সংবিধান প্রণয়ন, বদল, বাতিলের ক্ষমতা) জনগণের হাতে চলে গেছে।
৩. বিএনপির যুক্তি, সরকার সাংবিধানিক এবং জনগণের অভিপ্রায়ে গঠিত নয়। ফলে কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতা সংসদের।
৪. তখন প্রশ্ন আসে, সংসদের কী কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতা আছে? এর উত্তর জটিল। তবে অতীত নজির বলছে, নেই। কারণ সংসদ সংবিধান সংশোধন করতে পারলেও, নতুন সংবিধান প্রণয়ন বা বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করতে পারে না। এমনকি বিদ্যমান সংবিধানের মৌলিক কাঠামোও পরিবর্তন করে না। যেমন সংসদে পাস করা ছয়টি সাংবিধানিক সংশোধনী ইতিমধ্যে আদালতে বাতিল হয়েছে, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন এবং পদ্ধতিগত ক্রুটির কারণে।
৫. এই যুক্তি দিয়ে জামায়াত ও এনসিপি বলছে, ভবিষ্যত সংশোধানীও বাতিল হবে সংসদের কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতা না থাকায়। কারণ, সনদে বলা হয়েছে সংসদ হবে দুই কক্ষের। বর্তমান সংসদ যে এককক্ষের, তা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। আবার সংবিধানের মূলনীতিও সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ফলে এটা বদলের ক্ষমতা সংসদের নেই। ক্লাসিক উদহারণ, সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বাতিল। এ সংশোধনীর মাধ্যমে হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগে নিয়েছিলেন এরশাদ। এ সংশোধনী বাতিল করে ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাষ্ট্র ইউনিটারি (এক কেন্দ্রীক)। ফলে হাইকোর্ট বিভাগে নেওয়া সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থি। যা সংসদ করতে পারে না।
৬. সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ের পরও জুলাই সনদে ঐকমত্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হবে বিভাগে। এখন প্রশ্ন হল, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো এবং আপিল বিভাগের রায় লঙ্ঘন করে, তা কীভাবে করা যাবে? জামাযাতের আলাপ, সংসদ এটা করতে পারবে না। ফলে কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতা লাগবে। এ ক্ষমতার জন্য অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি হবে। এ আদেশের মাধ্যমে সংস্কার হবে। আদেশের অধীনে নির্বাচন হবে। সংসদ সংবিধান সংশোধন নয়, সংশোধিত সংবিধান গ্রহণ করবে। তারপর গণভোটে অনুমোদিত হবে। সংবিধান সংশোধন আদালতে চ্যালেঞ্চ হতে পারে। কিন্তু সংশোধিত সংবিধান মানে তো নতুন সংবিধান। যা করতে পারে, একমাত্র কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতা। এ ক্ষমতায় করলে, কেউ বাতিল করতে পারবে না।
৭. বিএনপির আর্গুমেন্টও বাস্তববাদী। তারা বলছে, ভবিষ্যতে যদি বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তাহলে কন্সটিটুয়েন্ট ক্ষমতাও টিকবে না। তারচেয়ে সংসদে যাওয়াই ভালো।
শেষ কথা
জুলাই সনদ আসলে বাস্তবায়ন পদ্ধতিতেই আটকে আছে। কোন পদ্ধতি ভালো বা খারাপ, তা রাজনৈতিক দল, সরকার ও বিশেষজ্ঞরা ঠিক করবেন। আমার কাজ না। আমি কাছ থেকে দেখার সুযোগে বলতে পারি, একটা অসাধারণ কাজ হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো জাস্ট আর একটু একটু করে ছাড় দিলেই ইতিহাস রচিত হবে। ধরুন, জামায়াত নিম্নকক্ষে পিআরের দাবি বাদ দিল। বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর মানল। সবার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক ও দুদক নিয়ে ঐকমত্য হয়ে গেলো। তাহলেও অসাধারণ একটি পরিবর্তনের কাজ হবে।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
বিঃদ্রঃ লেখাটি লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া।