কুমিল্লার চান্দিনায় হাত-পা ও মুখ বেঁধে সাত বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিশু কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তুষার আহমেদ (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে চান্দিনা উপজেলার বরকইট গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক তুষার আহমেদ বরকইট গ্রামের ডাবুরিবাড়ি প্রবাসী ফরিদুল ইসলাম সহিদের ছেলে। এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে পাশের বাড়ির ওই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর দাদি বলেন, আমার নাতনিকে গাছ থেকে ফল পাড়ার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নেয় তুষারের দাদি। আমার নাতনি গাছ থেকে ফল পাড়ার পর তাকে ঘরে ডেকে নেয় তুষার। এ সময় তার হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় আমার নাতনিকে চান্দিনা হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর স্থানীয় কতিপয় মাতবর ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার এবং শিশুর রিকশাচালক গরিব পিতাকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। যে কারণে ঘটনার তিন দিনও বিষয়টি এলাকায় তেমন জানাজানি হয়নি।
মঙ্গলবার বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে বিকালে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত তুষারকে আটক করে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত যুবককে আটক করি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।