Image description

সবাইকে নিয়ে ‌‘জুলাই আমব্রেলা’ গঠন করে মাঠে নামুন। যেভাবে হাসিনাকে ঠেকিয়েছেন, সেভাবে উগ্রবাদ ঠেকান এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের পথরোধ করুন। জুলাইয়ের অন্যতম অলিখিত আইন হলো: যত বিপদ, তত ঐক্য।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লেখেন।

তিনি লেখেন, একদিকে হাদি-খুনের মতো ভয়াবহ গুপ্তহত্যা, অন্যদিকে উগ্রবাদের ভয়ঙ্কর উত্থানের মতো মহাবিপদের এই দিনে চাই জাতীয় মহা-ঐক্যের ‘জুলাই আমব্রেলা’। এছাড়া আমরা উগ্রবাদী সহিংসতার হাত থেকে বাঁচব না। বাংলাদেশকে গিলে খাবে পরাশক্তিগুলো।

‘এই আমব্রেলায় থাকবে সমস্ত দল, মত, মঞ্চ, পথ ও পেশার উদার-গণতান্ত্রিক মানুষ। এটা হবে সম্ভাব্য বৃহত্তম ঐক্যের একটা আমব্রেলা-নেটওয়ার্ক। উদার-গণতন্ত্রীদের মধ্যকার বিভিন্ন ধারার সমমনারা নিজেরা নিজেরা পৃথক পৃথক জোট বানাবেন। এ রকম দুই, তিন, চার, বা ততোধিক জোট নিয়ে তৈরি হবে একটা কমন ছাতা। এর নাম হতে পারে: ‘জুলাই আমব্রেলা’, ‘জুলাই নেটওয়ার্ক’ ইত্যাদি।’

যত বিপদ, তত ঐক্য: নিউটন

সেলিম রেজা নিউটন লেখেন, এই কমন মহা-ছাতার নেটওয়ার্কে শুধু রাজনৈতিক দলসমূহের জোটগুলো থাকবে, তা নয়। এতে থাকবে গানের দলসমূহের জোট, আবৃত্তি-সংগঠনসমূহের জোট, ছোটো-কাগজসমূহের জোট, বিতর্ক-ক্লাবসমূহের জোট, বিজ্ঞান-ক্লাবসমূহের জোট, চলচ্চিত্র-সংসদসমূহের জোট, কম্পিউটার-ক্লাবসমূহের জোট ইত্যাদি। আরো থাকবে বাঙালি, সাঁওতাল, পাহাড়ি, বিহারী প্রভৃতি ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের দল, সংগঠন ও জোট।

‘যেমন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, গুরু, গোঁসাই, পাদ্রী, পুরোহিত আলেম, অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রবাসী, গার্মেন্টস-শ্রমিক, রিকশা-চালক, অটো-চালক, ব্যাঙ্কার, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং আরো অন্যদের সমিতি, অ্যাসোসিয়েশন, জোট— এমনকি স্বতন্ত্র ব্যক্তিবর্গও।’

তিনি আরও লেখেন ‘জুলাই আমব্রেলা’র এই মহা-নেটওয়ার্ক চলবে লিঁয়াজো-কমিটির মাধ্যমে। এমন যদি হয় যে- দল, মঞ্চ, প্লাটফর্ম, জোট, সমিতিগুলো নিজ নিজ ব্যানারে আলাদা আলাদা জায়গায় কিন্তু একই দিনে একই ইস্যুতে একই ধরনের যুগপৎ কর্মসূচি দিতে অন্তত রাজি হচ্ছে, তাতেও কিন্তু একটা কার্যকর উদার-গণতান্ত্রিক আমব্রেলা গঠন করা যাবে। এর তাৎপর্য হবে অপরিসীম। জুলাই তার গৌরব ফিরে পাবে। বিচার, সংস্কার, নির্বাচন গতিশীল হবে।

নিউটন লেখেন, মনে রাখতে হবে, উগ্রবাদ জিতলে বাংলাদেশ কিন্তু ‘ইউক্রেন’ হবে। ইউক্রেনের সঙ্গে তবু পশ্চিমারা ছিল, আছে। বাংলাদেশের সাথে কেউই থাকবে না। ভারত এটাই চায়। আমাদের ‘কাশ্মীর’ বানাতে চায় ভারত।‌ অস্থিতিশীল কলোনী বানাতে চায়। উগ্রবাদীরা আসলে ভারতেরই চর। হাসিনা হলো ভারতের এ-টিম। উগ্রবাদীরা বি-টিম, সি-টিম, ডি-টিম। উগ্রবাদীরা জানেও না, ভারতীয় আধিপত্যবাদই ছদ্মবেশী থার্ডপার্টিসমূহের লেজ দিয়ে তাদের নাড়াচ্ছে। আর হাসিনাৎসি হাসছে।

‘আমব্রেলা বানান। মাঠে নামুন। সমবেত আওয়াজ তুলুন: ‘হাসিনা পারেনি- বাংলাদেশ হারেনি। উগ্রবাদও পারবে না- বাংলাদেশ হারবে না।’ চলুন বসি, আলোচনা শুরু করি।’