Image description

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত, মাফিয়া ও সন্ত্রাসীরা সরকারকে জিম্মি করে ফেলেছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় না নিয়ে এসব দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিন।

 

মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশকে আতঙ্ক ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আইনের শাসনের পরিবর্তে দেশে এক ধরনের স্বেচ্ছাতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। জনজীবনে গভীর নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টস শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে মেরে, লাশ ঝুলিয়ে পুনরায় তা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা এ দেশে নজিরবিহীন বিভীষিকা। এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিচার না হলে এ ধরনের বীভৎসতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়ায় দেশব্যাপী খুনিরা উৎসাহিত হচ্ছে। এ কারণে দেশজুড়ে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে।

সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ও প্রশাসনের অকার্যকারিতায় দেশজুড়ে মারাত্মকভাবে নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে। এ সময় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সরকার মানুষের জানমালের হেফাজত না করে নিষ্ক্রিয়তার মধ্য দিয়ে পরোক্ষভাবে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের মদদ জুগিয়ে আসছে। সরকারের মধ্যকার বা তাদের ছত্রছায়ায় থাকা বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর মদদ ব্যতিরেকে এ ধরনের রোমহর্ষক ঘটনা সংঘটিত হতে পারে না।

তিনি অনতিবিলম্বে সাম্প্রতিককালে সংঘটিত নজিরবিহীন নৃশংসতা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন প্রমুখ।