পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। তাই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার, ভাষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগঠন ‘জাবারাং কল্যাণ সমিতি (জাবারাং)’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। সংগঠনটির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা।
জাবারাং-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর বিনোদন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আনোয়ার হোসেন, ইউনেস্কো’র হেড অব এডুকেশন নোরিহিদে ফুরুকাওয়া, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, ড. হরি পূর্ণ ত্রিপুরা, বিএনসিইউ প্রতিনিধি মো. তাজউদ্দিন, গণসাক্ষরতা অভিযানের তপন কুমার দাশ, প্লান ইন্টারন্যাশনালের ফারজানা মেহরিন, সেভ দ্য চিলড্রেনের মেহেরুন নাহার স্বপ্না, গ্রামীণ সাধারণ নেটওয়ার্কের সভাপতি যুব লক্ষণ চাকমা, নারী হেডম্যান এখিন চৌধুরী, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সমন্বয়কারী সঞ্জয় মজুমদার, সিডব্লিএফডি’র নির্বাহী পরিচালক ল্যাডলি ফায়েজ, বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ প্রতিনিধি মাসুদ আলম, উইভ সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক নাই ইউ প্রু মার্মা মেরী, দীঘিনালা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মো. মাইনউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে যুগ্মসচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হলে, তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের ঐতিহ্য ধারণ ও লালন করতে হবে।
তিনি বলেন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো প্রান্তিক পর্যায়ের ছোট উন্নয়ন সংস্থার কথা বিবেচনা করছে। তাই এনজিওব্যুরো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই, ছোট স্থানীয় সংস্থাগুলি ডোনার ফান্ডেড প্রজেক্টে পার্টনার হিসেবে কাজ করতে পারবে। পার্বত্য এলাকার সংগঠনগুলো এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে জাতীয় সংগীত ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে জাবারাং-এর নির্বাহী পরিচালক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকে ভূষিত হন।