Image description

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং এখন টিভির প্রতিনিধি মো. সোহান মাহমুদ।

 বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে রহনপুর কলেজ মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 হামলার শিকার সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মিছিলের সময় আমিনুলের সমর্থকরা হঠাৎ আমাকে লক্ষ্য করে মারধর করতে থাকে। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কোনো লাভ হয়নি। তারা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও ভাঙচুর করে। একই সময় সময় টিভির প্রতিনিধি সোহান মাহমুদকেও লাঞ্ছিত, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

এ ঘটনায় থানায় গোমস্তাপুর থানায় দায়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগে বলা হয়, ২৭ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে রহনপুর কলেজ মোড়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় আমিনুল ইসলামের অনুসারী মোঃ শুভ (২৫), পিতা রমজান আলী, এবং অজ্ঞাত আরও ১৫–২০ জন অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তারা মারধর করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মো. সোহান মাহমুদ (এখন টিভি) ও মো. মনোয়ার হোসেনকে (সিনিয়র রিপোর্টার, যমুনা টিভি)। হামলার সময়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পথচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমিনুল ইসলামের সব ধরনের সংবাদ বর্জন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।