নৈঃশব্দ্যের অন্ধকার দেশে তোমার বিধবা আঁচলের আশ্রয় আমাদের থেকে কেড়ে নিয়েছিলো
আমরা রাজনৈতিক এতিম হয়ে ছটফট করলাম তুমি নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে
অদৃশ্য বেয়নেট কণ্ঠনালী চিঁড়ে ফালাফালা করলো, আস্তিন গুটিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে রইলাম
গুম হওয়া রক্তকেশী কিশোরীর চূর্ণ চুড়ির শব্দে ভাঙলো না বধিরের উন্নাসিক তন্দ্রা।
তোমার মলিন মুখখানা শ্রান্ত কলমি ফুলের মতো দোলে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল।
দুহাজার তিনশো ছিয়াত্তর দিনের বন্দিত্বেও ওরা তোমার মোলায়েম ছায়া মুছে দিতে পারেনি
ফ্যাসিবাদের তমিশ্রমায় দুমড়ে-মুচড়ে চিৎকার দিয়ে জেগে উঠলো সমস্ত মজলুম।
আমরা জানতাম তুমি ফিরে আসবে! সমস্ত পৃথিবী ফেরারি হয়ে খুঁজেছে আশ্রয় তোমার আঁচলে মা।
আর তুমি যখন মঞ্চে উঠে এলে—
ময়লা পাঞ্জাবিতে চোখ মুছে রোদের প্রখরতা বিদীর্ণ করে তাকালো জনতা ঘামার্ত মুখে।
ফুঁসে উঠলো সমুদ্র, দীর্ণ দহনে নদীর পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া কিষাণীর মুঠোভরতি ভাতের লোকমা।