একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চায় বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। পাশাপাশি একসঙ্গে দুই ভোট আয়োজন ও নির্বাচনী আচরণবিধির প্রয়োগে সাংবিধানিক সংস্থাটির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলগুলো।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ ও গণভোট এক দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।
গতকাল বুধবার সংলাপের চতুর্থ দিনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয় ইসির সামনে তুলে ধরা হয়। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে ডিসিদের বাদ দিয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। জামায়াতে ইসলামী এখনই ডিসি-এসপির রদবদলকে পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে তপশিলের পর লটারির মাধ্যমে একযোগে রদবদলের দাবি জানায়। আর জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল এনসিপি আচরণবিধির কয়েকটি বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে। অন্য দলগুলোও আচরণবিধির কিছু অসংগতি তুলে ধরে নানা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে ইসির সামনে।
এসব বিষয়ের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা এলেও এ-সংক্রান্ত নতুন আইনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। গণভোট আইন হওয়ার পর এ নিয়ে ইসি কাজ শুরু করবে। আচরণবিধি কঠোরভাবে পালন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে দলগুলোর সহযোগিতা চান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে গতকালের সংলাপে ১৩টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দলগুলো হলো– বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন (জিএসএ), নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএজেএমপি) এবং ইনসানিয়াত বিপ্লব। এ নিয়ে চার দিনে ৪৮টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। ইসির নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত এবং জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকসহ মোট ছয়টি দলকে সংলাপে ডাকার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঞ্চালনায় সংলাপে তিন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নিয়াজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গণভোট প্রসঙ্গ
সংলাপে গণভোট বিষয়ে বিএনপির প্রতিনিধিরা তেমন কিছু না বললেও অন্য দলের প্রতিনিধিরা বেশ সোচ্চার ছিলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত একই দিনে জাতীয় ও গণভোট হলে তা বাস্তবায়নে ইসির কর্মপরিকল্পনা ও সক্ষমতা বিষয়েও জানতে চান তারা।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার একই দিনে সংসদ, গণভোট আয়োজনসহ ব্যালট নিয়ে ইসির পরিকল্পনা জানতে চেয়ে বলেন, জুলাই সনদে কী কী সংস্কার হতে যাচ্ছে, গণভোটে কোনটায় ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বলবে, ‘না’ বলবে– বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোর কী কী পরিবর্তন হলো– ভোটার যদি বুঝতে না পারে তাহলে সে কীভাবে বলবে? একই দিনে দুই ভোট হলে ভোটার বুঝতে পারবে না। জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট প্রশ্ন প্রচারণার দায়িত্বও ইসির।
গণভোটের বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গণভোট কী প্রক্রিয়ায় হবে? কীভাবে ইসি এটি বাস্তবায়ন করবে? এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আমরা কবে পাব? আমরাও কিছু সচেতনতামূলক কাজ করতে পারব আশা করি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, একই সঙ্গে সংসদ ও গণভোট করা হলে সময় বেশি লাগবে। এজন্য আলাদা বুথ করতে হবে। দুই ভোটের গণনা আলাদা করলে সময়ক্ষেপণ হবে না।
মাঠ প্রশাসনে রদবদল ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ
সংলাপে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনে রদবদলের প্রসঙ্গ উঠে আসে। বেশির ভাগ দল এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা প্রদর্শনের আহ্বান জানায়। কেউ কেউ বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ও আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখার দাবি জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে ইসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ইসির যতটুক লোকবল আছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন হবে।
জামায়াতের মিয়া গোলাম পরওয়ার জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে রদবদলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘রদবদলের বিষয়টা হচ্ছে– এক মাস হয়নি, ২০ দিনও হয়নি; একজন ডিসি বদলি হয়েছেন। সেখানে আবারও ডিসি রদবদল হয়েছে। মনে হয়েছে যেন কোনো ডিজাইন করে একটা উদ্দেশ্যে কোনো জায়গা থেকে এটি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তপশিল হওয়ার পর ইসির আওতায় আসবে অনেক এখতিয়ার। প্রশাসনে নিরপেক্ষতায় আস্থা রাখার উপায় হলো লটারির মাধ্যমে বদলি হওয়া। যার যেখানে তকদিরে আছে। প্রধান উপদেষ্টাকেও বলেছি, এ রকম করলে প্রশ্ন থাকবে না।’
একই দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদও জনপ্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লটারির ভিত্তিতে ডিসি, এসপি, ওসি ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলির দাবি করেন। তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন হয়েছে, আমলাতন্ত্রের মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন কম এসেছে।
ইসির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ইসির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সংলাপে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন করায় কঠোর সমালোচনা করেন দলগুলোর নেতারা।
আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান বলেন, আচরণবিধিতে শাস্তির বিধান স্পষ্ট নয়। যত নিয়মনীতি তৈরি করা হবে, তত তা লঙ্ঘনের প্রবণতা বাড়বে। কাজেই এটা যত সিম্পল করা যায়।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সমমনা দলগুলো দেড় দশক ধরে শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। ইসির প্রতি শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানই ইসিকে ক্ষমতা দিয়েছে। নতজানু হওয়ার কোনো কারণ নেই। ধর্মকে রাজনৈতিক কারণে যেন কোথাও ব্যবহার করা না হয়। যতই অঙ্গীকারনামা নেওয়া হোক, নিজেদের সংশোধন না করলে তা কোনো কাজে আসবে না।
জামায়াত নেতা শিশির মনির বলেন, আচরণবিধির এক স্থানে পোস্টারসহ অন্যান্য প্রচারসামগ্রী ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা আছে। পরেই আবার বলা আছে– পোস্টার সরাতে পারবেন না। এতে বিধি ভাঙলে শাস্তির কথা বলা থাকলেও কে শাস্তি দেবে, তা উল্লেখ নেই।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, যারা আচরণবিধি করছেন, ভোটের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। আচরণবিধি একটি নিপীড়নমূলক আইনে দাঁড়াবে। বিধিমালা কোথাও লঙ্ঘন হলে তদন্ত কমিটি হবে, অভিযোগ সেখানে দিতে হবে। এখন তদন্ত কারা করবে, সেটা বলা নেই। কমিশন প্রার্থিতা বাতিলের প্রক্রিয়া রাখলেও সেটা কীভাবে ও কত দিনের মধ্যে করবে, তা উল্লেখ নেই।
নির্বাচনী প্রচারে দলীয়প্রধানের ছবি ব্যবহার প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, ‘দলীয়প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি না রাখতে পারার বিধান করা হয়েছে। এখন খালেদা জিয়া হচ্ছেন বিএনপির প্রধান। তারেক রহমান বা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি কেউ ব্যবহার করলে এই বিধি ব্যবহার করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ কমিশনের এই সক্ষমতা আছে কিনা– সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বলেন, দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে আইন ও বিধি সংশোধনের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজ কোনোভাবেই এককভাবে করা সম্ভব নয়।
পোস্টার-বিলবোর্ড
সংলাপে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করে নির্বাচনী প্রচারে পোস্টারের ব্যবহার বন্ধ ও বিলবোর্ডের ব্যবহার সীমিত করার সমালোচনা হয়েছে।
এনসিপি নেতা জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, নির্বাচনী আমেজ মানে পোস্টারিং, মাইকিং, জনসম্পৃক্ততা ও জনসভাকে বুঝি। কিন্তু আচরণ বিধিমালা সংশোধন করে পোস্টার বন্ধ যারা করেছে, তার সঙ্গে এই আমেজের সংযোগ নেই।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, পোস্টার-বিলবোর্ড এর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। প্রচারে প্রার্থীকে নিজের দায়িত্বে দিলে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ আসা-যাওয়ার পথে যেন দেখতে পায়, এমন জায়গাগুলোতেই পোস্টার লাগানো হয়।
মাইনরিটি জনতা পার্টির নেতা সুকৃতি কুমার মণ্ডল বলেন, পোস্টার ব্যবহার না হলে ছোট দলগুলোর পক্ষে সহজে ভোটার ও মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
অন্যান্য প্রসঙ্গ
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান নির্বাচনের আগেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া, আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল শরিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা ও তাদের নিবন্ধন বাতিলসহ ১৮ দফা প্রস্তাব দেন।
নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবীর হাসান অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নানা প্রস্তাব দেন।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে মেটা, টিকটকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ছয় দফা এবং বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় ১০ দফা লিখিত সুপারিশ দেন।
বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির মহাসচিব সুকৃতি কুমার মণ্ডল বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় সুস্পষ্ট ধারা থাকতে হবে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বা ভীতি প্রদর্শন করলে তাৎক্ষণিক প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের মহাসচিব শেখ রায়হান রাহবার ভোট পদ্ধতি পরিবর্তন করে মোবাইল অ্যাপের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ পদ্ধতি চালুর আবেদন জানান।
এ ছাড়া দলগুলোর পক্ষ থেকে কালো টাকা, পেশিশক্তি ও অস্ত্রের প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের প্রত্যাশা তুলে ধরে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, নির্বাচনের আগেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জামানতের পরিমাণ কমানোসহ নানামুখী দাবি তুলে ধরে। কয়েকটি দল ছোট দলগুলোর প্রচারের স্বার্থেই নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার দাবি জানান।
সিইসি যা বললেন
সংলাপের শুরু ও শেষে বক্তব্য দেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন। উপস্থিত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এমন নয় যে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে, আপনাদেরও যদি এখানে বসিয়ে দিই, এগুলোকে উপেক্ষা করে যাওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবতা যেটা আছে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার চেষ্টা করতে হবে। বাস্তবতা একদম এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’
সিইসি বলেন, বাস্তবতার সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা ধীরেসুস্থে এগিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত সফলভাবে এগোতে পেরেছি। একটি সুন্দর নির্বাচন জাতির কাছে সব দলেরই ওয়াদা। ইসি দেশবাসীর কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ওয়াদাবদ্ধ।