কুমিল্লার টাউন হল মাঠে একই দিনে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচি ঘিরে নগরীতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার আলাদা কর্মসূচি দিয়ে মাঠের পূর্বপাশে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও পশ্চিম পাশে মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা পৃথকভাবে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি করছেন। সকাল ১১টায় হাজী ইয়াছিন গ্রুপের এবং বিকেল ৩টায় মনিরুল হক চৌধুরী গ্রুপের কর্মসূচির সময়সূচি দেওয়া হয়।
এদিকে প্রায় কাছাকাছি সময়ে এবং একই জায়গায় হওয়ায় সমাবেশ স্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বিবেচনায় উভয় পক্ষকে টাউন হল থেকে কর্মসূচি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে এই নির্দেশনা দেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী।
জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, উভয় পক্ষকে চিঠি দিয়ে সমাবেশ সরিয়ে নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় সমাবেশের স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে।
গতকাল সন্ধ্যা থেকেই টাউন হল মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সাইফুল মালিক জানান, জেলা প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনা উভয়পক্ষকে জানানো হয়েছে। টাউন হল মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার টাউন হল মাঠে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন গ্রুপ। অন্যদিকে একই দিনে একই মাঠে মনিরুল হক চৌধুরী গ্রুপ নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেন।
এদিকে একই মাঠে দুই গ্রুপের দলীয় কর্মসূচি ডাকায় স্থানীয়ভাবে বুধবার সকাল থেকেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে টাউন হল মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তমঞ্চসহ মাঠের পূর্বপাশে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন অনুসারীরা প্যান্ডেল তৈরি করেছেন। টাউন হল মাঠের গেট বাইরে থেকে তালা দেওয়া। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য মাঠে বসে আছেন।
এ বিষয়ে হাজী ইয়াছিন অনুসারী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান বলেন, ‘১৮ নভেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে দলীয় কর্মসূচির কথা জানিয়ে টাউন হল মাঠ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। এর আগে ১৫ নভেম্বর টাউন হলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল কবিরকে মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দোয়া ও আলোচনা সভার জন্য মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে।’ সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
মনিরুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত আইনজীবী আবদুল মোতালেব মজুমদার বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর আমারা জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চেয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। আবেদনের সময় মাঠের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করা হয়েছে।’
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘একই স্থানে দুইটি পক্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে কাউকে অনুমিত দেওয়া হবে না।’আস