Image description

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে কাজ কতটা টেকসই হবে এনিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ঠিকাদারের কাছ থেকে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয়ে প্রভাবশালীদের চাপের কথা উঠে এলেও অস্বীকার করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজধানীর মোহম্মদপুরের সাদেক খান ও হাসেম খান রোডে মাস কয়েক ধরেই চলছে সড়কের নির্মাণ কাজ। এখনও কাজ শেষ হতে অনেকটাই বাকি। তবে এরই মধ্যে নির্মাণ সামগ্রী ও কাজের মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ এলাকাবাসীর।

 
স্থানীয়রা বলছেন, চোখের সামনেই নিম্নমানের ইট ব্যবহার হচ্ছে রাস্তার জন্য খোয়া তৈরির কাজে। নির্মাণ কাজের অন্যান্য উপকরণের মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। পাশাপাশি ৬ মাস ধরে ড্রেনগুলো খোলা থাকায় চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনাও।
 
তবে ঠিকাদারের বয়ান থেকে উঠে আসে এমন উপকরণ ব্যবহারের পেছনের কারণ। ঠিকাদার মাহমুদ বলেন, স্থানীয় লোক ছাড়া অন্য জায়গার নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে; মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। পাশাপাশি জোর করে কাজের অংশীদার হতে চাচ্ছে কেউ কেউ।
 
যদিও, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ (মোহাম্মদপুর) এর নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলছেন, সবকিছু হচ্ছে নিয়ম মেনেই। মান পরীক্ষা করেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
 
আর অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিললেই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের। তিনি বলেন, সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। এখনও অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সেটির সত্যতা মিললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
রাস্তার নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং অনিয়মের অভিযোগ অনেক পুরোনো। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও পরিস্থিতি না বদলানোয় হতাশ স্থানীয়রা। প্রত্যেকেরই প্রত্যাশা, সরকারি অর্থে হওয়া প্রতিটি উন্নয়নকাজ যেন হয় টেকসই ও মানসম্মত। নইলে এমন সড়ক নির্মাণ শুধু কাগজে-কলমেই উন্নয়ন থেকে যাবে, বাস্তবে নয়।