Image description
 

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, “জামায়াত-মওদুদীপন্থীরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবাগণ ও আল্লাহর পয়গাম্বরদের (আ.) সম্পর্কে কটূক্তি ও সমালোচনার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আলেমসমাজ যদি এখনো নীরব থাকে, তবে কেয়ামতের ময়দানে ইলম গোপন করার দায় এড়ানো যাবে না।”

তিনি বলেন, মুসলমানদের ঈমান-আকিদা রক্ষায় আলেম-ওলামাদের এখনই সোচ্চার হতে হবে।

বুধবার হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী হাইস্কুল মাঠে আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদূদী তাঁর লেখায় বলেছেন-“রাসূলুল্লাহ (সা.) ছাড়া আর কেউ সত্যের মাপকাঠি হতে পারে না; সাহাবাগণও নন।” অথচ কুরআনে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, “আমি তাদের (সাহাবাদের) ওপর সন্তুষ্ট, আর তারা আমার ওপর সন্তুষ্ট।”

তিনি আরও বলেন, “মওদূদী বলেছেন, আল্লাহর নবীগণ (আ.) নিষ্পাপ নন-অর্থাৎ তাঁদের ভুল হতে পারে। এমন বক্তব্য ঈমান ও আকিদার পরিপন্থী। এসব মুনাফেকি ধারণা প্রচার করে তারা লাখো মুসলমানকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

হেফাজত আমির অভিযোগ করে বলেন, “জামায়াত-মওদুদীপন্থীরা হযরত ওমর (রা.)-এর চরিত্র নিয়েও কটূক্তি করেছে, যা কোনো কাফেরও করেনি। অথচ নবী করিম (সা.) স্বয়ং বলেছেন, যদি আল্লাহ কাউকে নবী হিসেবে প্রেরণ করতেন, ওমর (রা.) সেই যোগ্য সাহাবী হতেন। আলেম-ওলামাদের উচিত এসব ঈমানবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে মুখ খোলা।”

তাফসীর মাহফিলের ধারাবাহিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শোয়াইব জমীরী, মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা মোহাম্মদ শফী ও মাওলানা ওসমান সিকদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা রিজওয়ান আরমান।

মাহফিলে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের তাফসীর ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা উপস্থাপন করেন আল্লামা কুতুবউদ্দীন নানুপুরী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, মাওলানা শোয়াইব আলমপুরী, মাওলানা ইসমাঈল খান, মাওলানা আনোয়ার শাহ আজহারী, মুফতী রাশেদ, মুফতী রাফি বিন মুনির, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, মাওলানা এরশাদুল্লাহসহ আরও অনেকে।

শীর্ষনিউজ