Image description
 

বিয়ের দাবিতে ছয় দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন চাচি রুবিনা খাতুন (২৫)। আর সেই সুযোগেই পালিয়ে গেছেন প্রেমিক ভাতিজা আব্দুল আজিজ (২০)। ঘটনাটি ঘিরে পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।

 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের ব্যাপারীপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। রুবিনা খাতুন দুই সন্তানের জননী এবং মাইদুল ইসলামের স্ত্রী। ভাতিজা আব্দুল আজিজ চাচাতো ভাই গণি মোল্লার ছেলে।

স্থানীয়দের দাবি, চাচি ও ভাতিজার মধ্যে সম্পর্ক দুই-তিন বছর ধরে চলে আসছে। একই এলাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও রুবিনা মোল্লাবাড়িতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান। ঘটনার তৃতীয় দিনে রুবিনাকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভাতিজার পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রুবিনা বলেছেন, প্রেমিক ভাতিজার হাত ধরে তাকে বাড়ি থেকে বের করা হয়েছিল। পরে ভাতিজা তাকে অভয় দিয়ে নিজের বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। ভিডিওতে রুবিনার অনড় অবস্থান স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।

 

সসরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির সামনে নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে আজিজ পরিবারের লোকেরা গেট বন্ধ করে দেন। গণি মোল্লার ভাতিজা জানিয়েছেন, রুবিনা এখনও বাড়িতে আছেন, কিন্তু কাউকে ঢোকা বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন তার বাবা।

স্থানীয়রা বলছেন, 'মা কে আর চাচি কে? সবাই তো এক। এর বিচার হওয়া উচিত।' 

অপর এক ব্যক্তি জানান, 'মহিলাটি শনিবার থেকে ওই বাড়িতে আছে। সময় নষ্ট করায় আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তা বন্ধ করেছি। সমাজ থেকে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।'

ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. আনছার আলী বলেন, 'মেয়েটি জানিয়েছে, সম্পর্ক দুই-তিন বছর ধরে। শনিবার থেকে বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ভাতিজা পালিয়ে গেছেন। এরপর তিন দিনের মাথায় তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছেন।'

ছাপড়হাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, 'আমি এখনও বিষয়টি জানি না। কেউ আমাকে অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।'