
যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামে ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় চঞ্চল হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার বাবা মধু গাজী (৫২) ছুরিকাঘাতে আহত হন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চঞ্চল হোসেন ওই গ্রামের মধু গাজীর ছেলে। আহত মধু গাজী বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অভিযুক্ত পক্ষের তিনজন—ডাকাতিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের দুই ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪০), রবিউল ইসলাম (৩৮) ও রবিউলের ছেলে মুন্না (১৮)। তারাও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ছুরিকাহত মধু গাজী জানান, রবিউল ও বিল্লালের নেতৃত্বে এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা চলে আসছিল। তাঁর ছেলে চঞ্চল হোসেন কয়েকবার এই মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চঞ্চল ডাক্তার ইসরাইল হোসেনের বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় রবিউল, বিল্লাল ও মুন্নাসহ কয়েকজন এসে চঞ্চলের ওপর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ছেলেকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
পরে চঞ্চলের পরিবারের সদস্যরা হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে ধরে মারধর করেন। এতে তারাও আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় চঞ্চল হোসেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। বাকিরা পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোবাশ্বের হাসান জানান, ছুরিকাঘাতে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে চঞ্চল হোসেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান।
হাসপাতাল মর্গে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মনির হোসেন বলেন, নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় চঞ্চলকে হত্যা করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলযোগ হয়। পাল্টাপাল্টি ছুরিকাঘাতে পাঁচজন আহত হন। এরমধ্যে চঞ্চল হোসেন মারা গেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতরা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।