
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শারীরিক শিক্ষা দফতরের ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর ইরিনা নাহারের স্নাতকোত্তরের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার ড. মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ইরিনা নাহারের সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে মূল সনদ জমা দিতে ৭ দিনের সময় দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তা জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ১১৫তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একইসঙ্গে কীভাবে তিনি জাল সনদে চাকরি পেয়েছেন এবং প্রমোশন পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর ইরিনা নাহার এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি, সেটাই দিয়েছি। আমি কি জানতাম এটা জাল না কি?’
জানা গেছে, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগদানের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ও দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর পাস এবং শারীরিক শিক্ষা (বিপিএড) ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক।
বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির উল্লেখ থাকলেও ইরিনা নাহারকে স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি ছাড়াই তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল জলিল মিয়া তাকে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন। চাকরিতে যোগদানের দীর্ঘ ৯ বছর পরে, ২০২২ সালে তিনি ব্যক্তিগত ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্নাতকোত্তর পাসের একটি সার্টিফিকেট জমা দেন। তবে বেসরকারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে আনা সেই সনদ বিশ্ববিদ্যালয় যাচাই করলে জাল প্রমাণিত হয়। তাতেও কোনো শাস্তি বা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
২০১২ সালের ১ মার্চ ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে ইরিনা নাহার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. শাহজাহান আলী মণ্ডলের স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্রে ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান। ৬ মাস শেষ হওয়ার পর উপাচার্যের নিজস্ব ক্ষমতায় এডহক ভিত্তিতে আবার ৬ মাসের জন্য নিয়োগ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হন। পরে ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ তাকে স্থায়ী পদে পদায়ন করা হয়।
শীর্ষনিউজ