Image description

নির্বাচনী দায়িত্বে পুলিশ নিয়োগ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। কারণ বিগত ৩ নির্বাচনের বিতর্কিতদের এবার দায়িত্ব দেওয়া হবে না। অথচ পুলিশ সদস্য প্রয়োজন দেড় লাখ, যা এত অল্প সময়ে পূরণ করা অসম্ভব। এছাড়া, পুলিশের মনোবল নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে সেনাবাহিনীকেই সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ বাহিনীর মোট জনবল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৭ জন। নির্বাচনের জন্য লাগবে দেড় লাখ। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে তাদের প্রশিক্ষণ। অথচ বিগত ৩ নির্বাচনের বিতর্কিত ওসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসপি ও ডিআইজিদের বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারা মানসিকভাবে এখনও অপ্রস্তুত। ফলে নির্ভর করতে হবে সেনাবাহিনীর ওপর। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে হবে। আওয়ামী লীগের আমলে তাদের এই দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আগে যতগুলো ভালো ভালো নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করে এসেছে। এবার  যদি তারা দায়িত্ব না পালন করে সেটা দুর্নাম হবে।‘ 

এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বাহিনী মিলে দায়িত্ব পালন করবে প্রায় আট লাখ সদস্য।